ট্রাম্প-কিমের যৌথ ঘোষণায় যা আছে
প্রথমবারের মতো বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। আজ মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের কাপেলা হোটেলে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের পর কিছু বিষয়ে যৌথ ঘোষণা দেন এই দুই দেশের নেতারা। ঘোষণাটির বিষয়বস্তু নিম্নে তুলে ধরা হলো :
১. দুই দেশের মানুষের শান্তি এবং সমৃদ্ধির কথা চিন্তা করে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া নতুন করে সম্পর্ক স্থাপন করবে।
২. কোরিয়া উপদ্বীপে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
৩. গত ২৭ এপ্রিলে দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী কোরিয়া পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের কাজ সম্পন্ন করতে কাজ করে যাবে।
৪. যুদ্ধবন্দিদের নিয়ে ব্যবস্থা নিতে একমত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও কোরিয়া।
একই সঙ্গে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে, তাদের দ্রুত পুনর্বাসন করা হবে।
এই ঐতিহাসিক চুক্তির ফলে দুই যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সঙ্গে কয়েক দশক ধরে চলে আসা উত্তর কোরিয়ার দ্বন্দ্বের অবসান ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। ট্রাম্প ও কিম দুজনই তাদের এই যৌথ ঘোষণায় উল্লিখিত বিষয়গুলো পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবেন বলে অঙ্গীকার করেন।
এই বৈঠকের ফল নিয়ে খুব দ্রুতই দুই দেশের সরকার আবারও আলোচনায় বসবে বলেও তাঁরা জানান। বৈঠকে তাঁরা যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়া সম্পর্কের উন্নয়ন ও কোরীয় উপদ্বীপসহ সারা বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তায় কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
সিঙ্গাপুরের সেন্তোসা দ্বীপের কাপেলা সিঙ্গাপুর হোটেলে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দুই দেশের প্রতিনিধিদল কাঠের একটি টেবিলে মুখোমুখি বসে। উভয় পাশেই উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা উড়ছিল।
সকালে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে কিম বলেন, তাঁর বিশ্বাস এই বৈঠক শান্তির পথে বিশাল উন্নতি। তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করে ট্রাম্প বলেন, ‘অবশ্যই পথ অনেক কঠিন হবে। তবে আজ থেকে একটা ভালো দিন শুরু হলো।’
চুক্তি স্বাক্ষরের আগে দুই কাপেলা হোটেলের লাইব্রেরিতে একান্তে ৪৫ মিনিট বৈঠক করেন। তাঁদের সঙ্গে কেবল দোভাষী ছিলেন। এরপর তাঁরা বেরিয়ে এসে বারান্দা থেকে সাংবাদিকদের উদ্দেশে হাসিমুখে হাত নাড়েন।
মার্কিন প্রতিনিধিদলে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, চিফ অব স্টাফস জন কেলি ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার জন বল্টন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স, ফিলিপাইনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুং কিম ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের এশিয়াবিষয়ক সিনিয়র পরিচালক ম্যাট পটিংগার প্রতিনিধিদলে ছিলেন।
উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদলে ছিলেন ক্ষমতাসীন দল কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান কিম ইয়ং চল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পরিচালক রি সু ইয়ং, পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং হো ও উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সন হুই।