খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে
চিকিৎসা শেষে মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ছাড়পত্র দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ।
আজ বৃহস্পতিবার বিএসএমএমইউ পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা শেষে খালেদা জিয়াকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। বর্তমানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট ভালো।’
‘খালেদা জিয়া আমাদের এখানে এক মাস চিকিৎসা নিয়েছেন। আমরা তাঁর শারীরিক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তাঁকে আবার আগের আবাসে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে,’ যোগ করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুন।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে শাহবাগের হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। কারাচত্বরে গাড়িবহর পৌঁছায় দুপুর পৌনে ১২টার দিকে। এর পরই সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন বিএসএমএমইউ পরিচালক।
এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল দুপুরে জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শেষ না করেই তাঁকে কারাগারে নেওয়ার বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে এনেছেন আইনজীবীরা। হাইকোর্ট বিষয়টিতে লিখিত আবেদনের নির্দেশ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে আজ বিকেলে শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। এর পর খালেদা জিয়াকে নাজিমুদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। গত ৪ অক্টোবর চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের প্রিজন সেলে নিয়ে আসা হয়। সেখানে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড তাঁর চিকিৎসা করছিল।
এর মধ্যেই গত ৩০ অক্টোবর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর একদিন আগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেন কারাগার চত্বরে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত।
আজ সেখান থেকেই তাঁকে কারাগার চত্বরে স্থাপিত আদালতে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর ব্যক্তিগত নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্রও নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সেখানকার নিরাপত্তাকর্মীরা।