শ্বেতী রোগের চিকিৎসা কীভাবে হয়?
দেহের মেলানোসাইট পিগমেন্টেশন তৈরি করা বন্ধ করে দিলে সাদা জায়গা তৈরি হয়। একে শ্বেতী বলে। শ্বেতী রোগের চিকিৎসা কীভাবে হয়?
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৫০৭তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. জাহেদ পারভেজ। বর্তমানে তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগে পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : শ্বেতী রোগের চিকিৎসা কখন থেকে শুরু করতে হয়? কী ধরনের কাউন্সেলিং রোগীদের আপনারা দিয়ে থাকেন?
উত্তর : প্রথম অবস্থাতেই আমরা বলি, এটি কোনো সংক্রামক রোগ নয়। ছোঁয়াচে রোগও নয়। অন্য কেউ আক্রান্ত হবে না। এর জিনগত কারণ থাকতে পারে। পূর্ব পুরুষ কারো থাকলে হতে পারে। অথবা অন্য যেকোনো সময় যে কারো হতে পারে। এটা সারা জীবন থাকলেও তার কোনো ক্ষতি করবে না। কিছু হরমোন অনেক সময় সম্পৃক্ত থাকে, সেটি পরীক্ষা করতে বলি। এটা তিনি মেনে নিতে পারেন। আবার চিকিৎসা চাইলে সে বিষয়েও সাহায্য করতে পারি। অনেক ধরনের ইমিউনো মডিউলেটর ক্রিম পাওয়া যায়, খাওয়ার ওষুধ পাওয়া যায়, এগুলো ভিটিলিগোকে খুব সহজে নিরাময় করে দেয়।
জীবনযাপন সম্পর্কে আমরা ধারণা দেই। বলি, আপনি এভাবে চলবেন। শ্বেতী রোগের ক্ষেত্রে আজকাল বলা হচ্ছে, ভিটামিন সি যুক্ত খাবার এড়িয়ে যাওয়ার জন্য। এটি শ্বেতীকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। অনেক গবেষণায় এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ধরনের পরামর্শ দেই। মানসিকভাবে তার শক্তি বাড়ানোর জন্য বলি, আল্লাহ নিশ্চয়ই এর বদলে আরো ভালো কিছু আপনাকে দেবেন।
আর চিকিৎসার বিষয়গুলো আমরা বলি এবং বলি, অনেক ক্ষেত্রে আপনি ভালো হয়ে যাবেন। যেমন, সেগমেন্টাল ভিটিলিগোতে আমরা বলি স্ট্যাবল প্যাঁচ। শ্বেতী রয়েছে, কিন্তু সেটা বাড়ছে না এক বছর, সেই ক্ষেত্রে আমরা ভিটিলিগো সার্জারি করি। সুতরাং রোগীদের এত দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই।
প্রশ্ন : যাদের অনেক বেশি সাদা থাকে, তাদের ক্ষেত্রে কী করেন? অনেক ক্ষেত্রে আমরা শুনেছি সম্পূর্ণটাই সাদা করে দেন। এটা কি সঠিক?
উত্তর : হ্যাঁ, কিছু হরমোন পরীক্ষা করে আমরা এটি করি। একে বলে টোটাল ডি ম্যালানাইজেশন। অর্থাৎ মেলানোসাইট কোষটা সম্পূর্ণ কোষ থেকেই আমরা সরিয়ে দেব।
কেউ যদি টোটাল ডি ম্যালানাইজেশন পদ্ধতিতে আসতে চান, তার জীবনযাপনের ধরন সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে। সূর্যের আলোতে বেশিক্ষণ থাকতে পারবে না।