অ্যাজমা অ্যাটাক হলে কী করবেন?
শীতের সময় অ্যাজমা বা হাঁপানি বাড়ে। অনেক সময় তো এটি এতটাই বেড়ে যায় যে অ্যাজমা অ্যাটাকের মতো প্রাণঘাতী ঘটনা ঘটে। অতি সংবেদনশীলতার কারণে শ্বাসনালি সংকুচিত হয়ে হঠাৎ তীব্র শ্বাসকষ্ট হলে একে অ্যাজমা অ্যাটাক বলে।
অ্যাজমা অ্যাটাক হলে করণীয় কী? এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৬৪৭তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মাওলানা মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি বাংলাদেশ ইউএস পিপলস হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান।
প্রশ্ন : শীতে ব্রঙ্কিউলাইটিস প্রতিরোধে করণীয় কী?
উত্তর : আপার রেসপেরেটরি ইনফেকশন গলাব্যথা থেকে শুরু হয়। এরপর ফুসফুসের মধ্যে চলে যায়। অনেক সময় অ্যাজমা হয়ে যায়। এগুলোর দ্রুত চিকিৎসা করতে হবে। ব্লাড কালচার করতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। অনেক সময় অক্সিজেন দিতে হয়।
প্রশ্ন : অ্যাজমা অ্যাটাক হলে করণীয় কী?
উত্তর : অ্যাটাক হলে আর কিছু করার নেই। এ সময় দুই থেকে তিনটি কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক স্টেরয়েড ও ব্রঙ্কোডাইলেটরস চিকিৎসা দেওয়া হয়। দুটোর সমন্বয়েই এখন চিকিৎসা হয়। কারণ, সারা বিশ্বে অ্যাজমা অ্যাটাক প্রবল। অনেক ওষুধের প্রতিষ্ঠান এখন বেশ ভালো ভালো ওষুধ বের করছে। অবশ্য, দাম একটু বেশি। এগুলো খুব কার্যকর। এরপর তাৎক্ষণিক রেসপেরেটোরি থেরাপি দেয়। সেটির মধ্যে স্টেরয়েড দেওয়া হয়। অ্যাটাকের সমস্যা সেরে গেলে রোগী আরামবোধ করে।
প্রশ্ন : ইনহেলার ব্যবহার জরুরি কেন?
উত্তর : সাধারণত দেখা যায়, গ্রামে মা-বাবা অতটা সচেতন থাকেন না। তাঁদের বোঝাতে হবে যে ওষুধটি এত দরকারি যে সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে রোগী মারা যেতে পারে। ইনহেলার কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, এটি নার্সদের শিখিয়ে দিতে হবে। তাঁরা রোগীদের শেখাবেন।
রোগীকে ঠিকমতো ওষুধ খাওয়াতে হবে। কী ধরনের পরিবেশে থাকছে সেটি দেখতে হবে। বাড়িঘর পরিষ্কার রয়েছে কি না, ঘরে আলো আসে কি না দেখতে হবে।