‘লেজার নিয়ে ভয়ের কিছু নেই’
অবাঞ্ছিত লোমের চিকিৎসায় লেজার করা হয়। লেজার নিয়ে অনেকেরই ভীতি কাজ করে। তবে লেজার বিজ্ঞানসম্মত একটি চিকিৎসা এবং সারা বিশ্বেই এটি অনুমোদিত।
লেজারের বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. ঝুমু খান। বর্তমানে তিনি নিজ প্রতিষ্ঠান ডা. ঝুমু খান’স লেজার মেডিকেলের পরামর্শক। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৬৬০তম পর্বে সাক্ষাৎকারটি প্রচার হয়।
প্রশ্ন : লেজার নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু রয়েছে কি?
উত্তর : আমি ১৬ বছর ধরে লেজার নিয়ে কাজ করি। অনেকে বলে, লেজার দিলে কি ক্যনসার হবে? অনেকে বলে, এটি দিয়ে কি পুড়ে যাবে?
আসলে আমরা এত উন্নতমানের ওষুধ ব্যবহার করি যে কখনোই পুড়বে না। আমরা ওই রকম সস্তা দামের মেশিন ব্যবহার করি না। আমরা যাঁরা ঢাকায় প্র্যাকটিস করছি, সবাই কোয়ালিটি মেশিন নিয়ে কাজ করছি।
এটি এফডিআই প্রমাণিত। যারা বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করেছে, প্রথমে প্রতিবন্ধকতা দেখেছে। পরে দেখা গেছে, বিজ্ঞান কত উন্নত। ফলাফল তখনই আসা সম্ভব, যখন আমি হরমোনের ভারসাম্য ঠিক করতে পারব। আমি প্রতি সেশনে দেখব, লোমের সংখ্যা কমে যাচ্ছে, লোম পাতলা হয়ে যাচ্ছে। এমন হতে হতে লোম চলে যাওয়ার কথা। তবে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন যদি আমার শরীরে রাজত্ব করতে থাকে, তাহলে আমি লোম পাতলা করব—হরমোন আবার মোটা করে ফেলবে। সুতরাং দুটোর ক্ষেত্রে ভারসাম্য আসতে হবে।
এই যে সিস্টগুলো হয়, একজন মেয়ের সিস্ট হয়েছে শুনে তার মা-বাবা অস্থির হয়ে যান। ভাবতে থাকেন, মেয়েটির সন্তান হবে না। তবে মেয়েটি স্থূল হয়ে গেলে তার কিন্তু আরো সমস্যা। সিস্টগুলো ছোট করতে ওজন কমানো ও চর্বি কমানো খুব জরুরি। পেটের মেদ যত কমাতে পারি, সিস্ট কমে যায়। এর পর দেখা যায়, ঋতুস্রাব নিয়মিত হওয়া শুরু করে। তো, এটি নিয়ে আমি কেন হতাশা বোধ করছি? একটু ব্যবস্থাপনা করলে বিষয়টি ঠিক হয়ে যায়।