হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে সিসিটিভির ফুটেজ সংরক্ষণ
জাগৃতি প্রকাশনের কর্ণধার ফয়সল আরেফিন দীপনের হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে আজিজ সুপার মার্কেটের ক্লোজসার্কিট ক্যামেরায় ধারণ হওয়া ফুটেজ সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এই ফুটেজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আজিজ কো-অপারেটিভ দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ তথ্য জানিয়েছে।
এসব ফুটেজ এখনো পুলিশ জব্দ না করলেও তা পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নসহ অন্য গোয়েন্দা বাহিনীগুলোর হেফাজতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীন ফকির। এনটিভি অনলাইনকে তিনি বলেন, যেহেতু দীপনের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো এফআইআর করা হয়নি, সেহেতু ঘটনাস্থল থেকে কোনো আলামত তাঁরা জব্দ করেননি। তবে যেসব জিনিস জব্দ করা হবে তা চিহ্নিত করা হয়েছে। দীপনের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর তারা মামলা বা এফআইআরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা বা এফআইআর করার পরই ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে পুলিশের হেফাজতে আনা হবে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় জাগৃতি প্রকাশনের কার্যালয় থেকে ফয়সল আরেফিন দীপনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, দুপুরের পর যে কোনো সময় তাঁকে খুন করা হয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের একমাত্র সন্তান।
আজিজ সুপার মার্কেটের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ইউএনবি জানায়, ভবনটির নিচতলার বিভিন্ন স্থানে মোট আটটি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো ছিল।
এ বিষয়ে কল্যাণ সমিতির সহসভাপতি ইফতেখার হোসেন বলেন, ‘কেউ যদি নিচতলা দিয়ে ভবনে প্রবেশ করেন, তাহলে অবশ্যই তাঁর ছবি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়বে। তবে দুর্বৃত্তরা যদি পাশের ওষুধের দোকান বা দ্বিতীয় তলা ব্যবহার করে ভবনের প্রবেশ করে তাহলে তাদের শনাক্ত করা কঠিন হবে।’
এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ও দোষীদের শনাক্ত করতে সিসিটিভির ফুটেজ সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে বলেও জানান ইফতেখার হোসেন।