কর্তৃপক্ষ বলছে নিয়েছে, পুলিশ বলছে নেইনি
রাজধানীর শাহবাগের আজিজ কো-অপারেটিভ সুপার মার্কেটের নিচতলায় বসানো বেশ কয়েকটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন মার্কেটের ব্যবসায়ী ও মালিক সমিতির সভাপতি নাজমুল আহসান নাজু। শনিবার সারাদিন রেকর্ড হওয়া সব ফুটেজ রাতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়ে যায় বলে জানান তিনি।
তবে পুলিশের দাবি, দীপনের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা না করা পর্যন্ত ভিডিও ফুটেজ বা কোনো আলামত সংগ্রহ করছেন না তাঁরা। শুধু আলামত শনাক্ত করে রাখা হয়েছে। মামলা করা হলে পরে তা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হবে।
ব্যবসায়ী ও মালিক সমিতির সভাপতি নাজমুল আহসান নাজু বলেন, আজিজ সুপার মার্কেটের নিচতলায় বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। ফলে কে কখন কোনো দরজা দিয়ে মার্কেটে প্রবেশ করছে সে তথ্য পাওয়া সম্ভব। সেসব ফুটেজই গতরাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মার্কেটের কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন।
আজ রোববার দুপুরে এনটিভি অনলাইনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে শাহবাগ থানার পরিদর্শক শাহীন ফকির বলেন, যেহেতু দীপনের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো এফআইআর করা হয়নি, সেহেতু ঘটনাস্থল থেকে কোনো আলামত তাঁরা জব্দ করেননি। তবে যেসব জিনিস জব্দ করা হবে তা চিহ্নিত করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা বা এফআইআর করার পরই ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে পুলিশের হেফাজতে আনা হবে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয় থেকে ফয়সল আরেফিন দীপনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, দুপুরের পর যেকোনো সময় তাঁকে খুন করা হয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের ছেলে।