ভূমধ্যসাগর থেকে ১০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী উদ্ধার, অনেকেই আহত
ভূমধ্যসাগর থেকে অন্তত ১০০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জার্মানির একটি এনজিও। সি-ওয়াচ নামের এনজিওটি গত শুক্রবার এ কথা জানায়। খবর রয়টার্সের।
সি-ওয়াচ জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতভর অভিযানে ভূমধ্যসাগর থেকে এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে তারা এবং উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে অনেকে আহত ছিলেন। আহতদের কয়েক জন গুরুতর ‘ফুয়েল বার্নের’ শিকার ছিলেন।
পেট্রল সাগরের পানির সঙ্গে মিশে যাওয়ার পর তা কারও শরীরে লাগলে ‘ফুয়েল বার্ন’ হয়। যে ধরনের ডিঙ্গিগুলোতে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেন, সেখানে প্রায়ই ক্যান লিক করে বা উল্টে পড়ে নৌকায় থাকা পেট্রল সাগরের পানির সঙ্গে মিশে যায়।
সম্প্রতি আবহাওয়া ভালো থাকায় লিবিয়া ও তিউনিসিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি ও ইউরোপের অন্যান্য অংশের উদ্দেশ্যে ছাড়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকার সংখ্যা বেড়েছে।
জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইওএমের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দারিদ্র্য ও যুদ্ধকবলিত দেশগুলো থেকে পালিয়ে আসা এক হাজার ১০০ জনেরও বেশি মানুষের ভূমধ্যসাগরে ডুবে মৃত্যু হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ভূমধ্যসাগরে সি-ওয়াচ থ্রি জাহাজ দুটি নৌকা থেকে ৩৩ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে।
এনজিওটি জানিয়েছে, মাল্টার জন্য নির্ধারিত ভূমধ্যসাগরের তল্লাশি ও উদ্ধার জোনে এই দুটি নৌকাকে লিবিয়ার কোস্টগার্ড আটক করেছিল।
উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে কোনো সঙ্গী ছাড়া নয়টি শিশু ছিল যাদের মধ্যে তিন জন বয়সে বেশ ছোট, এবং সাত মাসের গর্ভবতী এক নারী ছিলেন। উদ্ধার হওয়া সবাই দক্ষিণ সুদান, তিউনিশিয়া, মরক্কো, আইভরি কোস্ট ও মালির নাগরিক।