শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানি জিকিউ বলপেনের চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) লোকসান বেড়েছে ৫ শতাংশ। আজ বুধবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়বসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই জানায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৯ পয়সা। আগের অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ৪ পয়সা। কোম্পানিটির এ সময়ের ব্যবধানে শেয়ার প্রতি লোকসান বেড়েছে ৫ পয়সা বা ৪ দশমিক ৮১ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) নেগেটিভ ১ টাকা ১৪ পয়সা। আগের অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) একই সময়ে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ছিল ১ পয়সা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১৯ টাকা ২৩ পয়সা।

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, আগের অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে লোকসান বৃত্ত আরো বড় হয়েছে। এসময় কোম্পানিটি পণ্য উৎপাদন কাঁচামাল সহ অন্যান্য উপকরণের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যায়। সেই প্রভাব কোম্পানি আয়ে পড়ে। ফলে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির লোকসান বৃত্ত আরও বড় হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি ডলারের মূল্য বেড়েছে। এতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কোম্পানিটির পরিচালনে ক্ষতি হয়েছে। এতে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ নেগেটিভে চলে এসেছে।

উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি  টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৮ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। শেয়ার সংখ্যা ৮৯ লাখ ২৮ হাজার ৯১টি। কোম্পানির উদ্যোক্তা পলিচালকরা ৪১ দশমিক ৮৮ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এছাড়া  প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালকরা ১ দশমিক ৪১ শতাংশ, বিদেশিরা শূন্য ৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৫৬ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।