ব্যর্থতার জন্য যে অজুহাত দাঁড় করালেন মুমিনুল
ইন্দোর টেস্টে তিন দিনে হেরেছে বাংলাদেশ। ইডেন টেস্টেও চিত্র পাল্টায়নি। এবার হেরেছে সোয়া দুই দিনে। ব্যাটসম্যানদের চরম ব্যর্থতায় ইনিংস ও ৪৬ রানের পরাজয়। ইডেন টেস্টে জয়-পরাজয় ছাড়াও ছিল গোলাপি বলের নতুনত্বের প্রসঙ্গ। কারণ নানা উৎসবের মধ্যে দিয়ে ইডেন টেস্টেই গোলাপি বলের যুগে পা রাখে বাংলাদেশ। দিবারাত্রি টেস্টে নিজেদের শুরুর যাত্রা ধূসর হওয়ার পেছনে গোলাপি বলে খেলার চ্যালেঞ্জটাকেই দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক।
ইডেন টেস্টের তৃতীয় দিন ইনিংস পরাজয় এড়ানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জে এক ঘণ্টাও টিকল না বাংলাদেশ। ৪৭ মিনিটে শেষ হয়ে যায় ইনিংস। আজ রোববার দিনের শুরুতেই বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে ইনিংস ও ৪৬ রানে জেতে ভারত। ফলে ২-০-তে সিরিজ জিতে নেয় বিরাট কোহলির দল।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বলেন, ‘দেখুন লাল বলের চেয়ে নতুন গোলাপি বলে কিন্তু চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি। যখন শিশির পড়ে, বল ভেজে, তখন এর মুভমেন্ট অনেক কমে আসে। আমরা যদি নতুন বলের চ্যালেঞ্জটা নিতে পারতাম তাহলে আরেকটু ভালো হতো। আপনি দেখুন, শেষের দিকে যখন শিশির পড়া শুরু করল তখন জিনিসটা সহজ হয়ে গিয়েছিল। আমার কাছে হয় গোলাপি বলে নতুন বলের চ্যালেঞ্জটা বেশি। যেটার চ্যালেঞ্জটা নিতে পারিনি তাই আমরা পিছিয়ে গেছি ।’
টেস্টে বাংলাদেশের একজন নিয়মিত ব্যাটসম্যান মুমিনুল। কিন্তু এবার বড় দায়িত্ব নিয়ে যাওয়া মুমিনুল দুই টেস্টের একটিতেও ভালো খেলেন নি। শেষ ইডেনে দুই ইনিংসেই ডাক মেরেছে। অবশ্য নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশ নন তিনি। তাঁর কাঠগড়ায় দলের ফলাফল, ‘আমার ব্যাটিং গড় নিয়ে বেশি ভাবছি না। দলের ফল নিয়ে হতাশ। সেটা স্বাভাবিকও। যখন এমন ফল হয় তখন খারাপ লাগা স্বাভাবিকই। হয়তো আমি এখন ভুগছি। দুঃসময় থেকেই মানুষ ভালো কিছু পায়। হয়তো আমিও পাব।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই সিরিজ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। এই মানের বোলারদের সামলাতে কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন, কীভাবে খেলবেন। দল হিসেবে আমার মনে হয়, সবাই শিক্ষাটা নেবে। এ শিক্ষা পরের সিরিজে অনেক বেশি কাজে দেবে।’

স্পোর্টস ডেস্ক