টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ শ্রীলঙ্কা

২০১৬ সালের আগস্টে ঘরের মাটিতে আয়োজিত টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল শ্রীলঙ্কা। এবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে বিপরীত অভিজ্ঞতা হলো লঙ্কান ক্রিকেটারদের। টানা তিনটি ম্যাচ হেরে ডুবতে হলো হোয়াইটওয়াশের লজ্জায়। তৃতীয় টেস্টটি শ্রীলঙ্কা হেরেছে সবচেয়ে বাজেভাবে। ফলোঅনে পড়ে শেষপর্যন্ত মাঠ ছেড়েছে ইনিংস ও ১১৮ রানের হার নিয়ে।
টেস্ট সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচেও বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে। প্রথমটি হেরেছিল ২০৬ রানে। দ্বিতীয়টি ২৮২ রানে। আর সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি ইনিংস ব্যবধানেই হারতে হলো সফরকারীদের। অধিনায়ক হিসেবে এটাই সবচেয়ে বাজে হারের অভিজ্ঞতা বলে মন্তব্য করেছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, ‘এর আগেও অনেক ম্যাচে আমাকে হারের মুখ দেখতে হয়েছে। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে এটাই আমার সবচেয়ে বাজে হার।’
জোহানেসবার্গ টেস্টে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার করা ৪২৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা পড়েছিল ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে। অলআউট হয়ে গিয়েছিল মাত্র ১৩১ রানে। ফলোঅনে পড়ে আবার দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও নিজেদের শুধরে নিতে পারেননি লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। ওয়েন প্রানেল ও ডুয়ান্নে অলিভিয়েরের দুর্দান্ত বোলিংয়ে এবার শ্রীলঙ্কার ইনিংস গুটিয়ে গেছে ১৭৭ রানে। দুই ইনিংস মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার মাত্র একজন ব্যাটসম্যানই খেলতে পেরেছেন অর্ধশতকের ইনিংস। ৫০ রানের সেই ইনিংসটি এসেছে দিমুখ করুনারত্নের ব্যাট থেকে।
প্রথম ইনিংসে ১৫৫ রানের দারুণ ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন জেপি ডুমিনি। তবে দলের এই দাপুটে জয়ে বড় অবদান রেখেছেন প্রোটিয়া বোলাররা। দুই ইনিংস মিলিয়ে ছয়টি উইকেট নিয়েছেন প্রানেল। পাঁচটি করে উইকেট গেছে কাগিসো রাবাদা ও অলিভিয়েরের ঝুলিতে। ভারনন ফিল্যান্ডার নিয়েছেন চারটি উইকেট।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এবার শ্রীলঙ্কা খেলবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ও পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।