বাংলাদেশ পুলিশ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপে এপিবিএন সেরা

বাংলাদেশ পুলিশ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নিয়েছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশকে চার উইকেটে পরাজিত করে এপিবিএন।
এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার এ এস এম হাফিজুর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এপিবিএনের উত্তরা মাঠে উৎসবমুখর পরিবেশে ফাইনাল খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয়বারের মতো এ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নিয়েছে এপিবিএন। ২০০৯ সালে শুরু হওয়া এ চ্যাম্পিয়নশিপের এটি ছিল ষষ্ঠতম আসর। গত ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়, বাংলাদেশ পুলিশ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ।
সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হওয়া ফাইনালে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান করে চট্টগ্রাম। জবাবে এপিবিএন ১৭ ওভার দুই বলেই নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। এপিবিএনের সংগ্রহ ছিল ১২৯ রান।
ফাইনালে ম্যাচ সেরা হয়েছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের বাবুল। চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বোচ্চ আটটি উইকেট নিয়েছেন একই দলের মাহবুব ও সর্বোচ্চ ১৬২ রান করেছেন সোহাগ।
ম্যান অব-দ্য সিরিজ হন চট্টগ্রাম রেঞ্জের সাইফুল ইসলাম। আটটি উইকেট পেয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হন এপিবিএনের মাহবুব এবং সব ম্যাচে ১৬২ রানা করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী নির্বাচিত হন এপিবিএনের সোহাগ।
লীগ পদ্ধতির এই খেলায় বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের মোট ১১টি দল অংশগ্রহণ করে। দলগুলো হচ্ছে, এপিবিএন, রাজশাহী রেঞ্জ, রংপুর রেঞ্জ, সিলেট রেঞ্জ, বরিশাল রেঞ্জ, খুলনা রেঞ্জ, ঢাকা রেঞ্জ, চট্টগ্রাম রেঞ্জ, রাজশাহী মেট্রো, ঢাকা মেট্রো ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ দল।
ম্যাচ শেষে বিজয়ী দল আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের হাতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জের হাতে রানার্স আপ ট্রফি তুলে দেন পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক। এপিবিএনের পক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি গ্রহণ করেন এপিবিএন ৫-এর অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মো. ছিবগাত উল্লাহ।
ফাইনাল খেলায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাকের) সভানেত্রী শামসুন্নাহার রহমান, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রসাশন ও অপস্) মো. মোখলেছুর রহমান,অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এপিবিএন) ছিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ পুলিশ ক্রিকেট উপপরিষদের সভাপতি উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বিনয় কৃষ্ণ বালা,উপমহাপরিদর্শক (এপিবিএন) আবু মুছা মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম খানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।