টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু নির্বাচনে স্বজনপ্রীতি?

প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে ভারত। ২০১৬ সালের মার্চ-এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় এই প্রতিযোগিতার সবকিছুই চূড়ান্ত হয়ে গেছে। তবে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে উঠছে নানা প্রশ্ন। বিশেষত, ভেন্যু নির্বাচনের ক্ষেত্রে যেভাবে বিশেষ দুটি মাঠকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে চলছে সমালোচনা।
আগামী বছরের ৮ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা হবে মোট ৩৫টি ম্যাচ। এর মধ্যে ১৭টি ম্যাচ আয়োজনের সুবিধা দেওয়া হয়েছে দুটি ভেন্যুকে—ধর্মশালা ও নাগপুর। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সেক্রেটারি অনুরাগ ঠাকুরের নিয়ন্ত্রণাধীন হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের স্টেডিয়াম ধর্মশালায় অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আটটি ম্যাচ। অন্যদিকে বিসিসিআইর সভাপতি শশাঙ্ক মনোহরের নিজ শহর নাগপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নয়টি ম্যাচ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাকি ১৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে পাঁচটি ভেন্যুতে—চণ্ডীগড়, মুম্বাই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু ও দিল্লিতে। ভারতে ২০টি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম থাকা সত্ত্বেও নাগপুর আর ধর্মশালায় এতগুলো খেলা অনুষ্ঠানের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
ধর্মশালার স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ২৩ হাজার। এখানেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ভারত-পাকিস্তানের হাইভোল্টেজ ম্যাচ। এ ধরনের একটা ম্যাচের জন্য আরো বেশি দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়াম কেন বেছে নেওয়া হলো না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিসিসিআইর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, ‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ২৩ হাজার মানুষ দেখবে না ৪০ বা ৫০ হাজার মানুষ দেখবে? আপনাকে বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হলে আপনি কী করতেন?’
এভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু নির্বাচনের পেছনে বিসিসিআইর শীর্ষ কর্মকর্তাদের স্বজনপ্রীতি কাজ করতে পারে বলে অনুমান করছেন অনেকে। তবে এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে।