পাক-ভারত ম্যাচে সেরা যাঁরা
উপমহাদেশের দুই ক্রিকেট পরাশক্তি ভারত ও পাকিস্তানের হাই ভোল্টেজ ম্যাচে পাহাড়সমান চাপ সামলে ভালো নৈপুণ্য দেখানোটা খুব কঠিন কাজই বটে। দুই দেশের কিংবদন্তি তারকারা প্রতি ম্যাচের আগেই বারবার স্মরণ করিয়ে দেন যে, মানসিকভাবে শক্ত থাকাই ম্যাচ জয়ের প্রধান উপায়। ভারত-পাকিস্তানের হাই ভোলটেজ ম্যাচে চাপ সামলে ভালো নৈপুণ্য খুব কম ক্রিকেটারই দেখাতে পেরেছেন। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচগুলোতে কারা পালন করতে পেরেছেন ক্রীড়নকের ভূমিকা?
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের লড়াই শুরু হয়েছিল ২০০৭ সালে। তারপর থেকে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ভারত-পাকিস্তান খেলেছে মোট ছয়টি ম্যাচ। ছয়টি ম্যাচেই মাঠে ছিলেন ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ও যুবরাজ সিং। এবারের এশিয়া কাপেও খেলতে দেখা যাবে ভারতের এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে। ধোনির দারুণ নেতৃত্বে ভর করেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ছয়টি ম্যাচের পাঁচটিতেই জয় পেয়েছে ভারত। নিশ্চিতভাবে ভারত-পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি লড়াইয়ে ধোনি ছিলেন অন্যতম ক্রীড়নক। দুইটি ম্যাচে ব্যাট হাতেও দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন ধোনি। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ ও ২০১২ সালে দ্বিপক্ষীয় সিরিজের দুইটি ম্যাচেই ধোনি খেলেছিলেন ৩৩ রানের মূল্যবান ইনিংস।
যুবরাজ সিং পাকিস্তানের বিপক্ষে খুব বেশি ভালো নৈপুণ্য দেখাতে পারেননি। কিন্তু একটি ম্যাচে খেলেছিলেন ৩৬ বলে ৭২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। ২০১২ সালের সেই ম্যাচে ভারত পেয়েছিল ১১ রানের জয়। ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতেছিলেন যুবরাজ।
ভারতের আরেক তারকা ক্রিকেটার বিরাট কোহলি পাকিস্তানের বিপক্ষে দেখিয়েছেন দারুণ নৈপুণ্য। ২০১২ সালে টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েই কোহলি খেলেছিলেন ৬১ বলে ৭৮ রানের অপরাজিত ইনিংস। সেই ম্যাচে বল হাতেও কোহলি নিয়েছিলেন একটি উইকেট। ম্যাচসেরার পুরস্কারও যে তাঁর হাতেই উঠেছিল, তা বলাই বাহুল্য। ২০১২ সালের আরেকটি ম্যাচে কোহলির ব্যাট থেকে এসেছিল ২৭ রান। আর ২০১৪ সালে শেষবারের মুখোমুখি লড়াইয়ে ৩৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

পাকিস্তানের বিপক্ষে গৌতম গম্ভীরকেও জ্বলে উঠতে দেখা গেছে দারুণভাবে। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে গম্ভীর খেলেছিলেন ৫৪ বলে ৭৫ রানের দারুণ ইনিংস। ২০১২ সালের আরেকটি ম্যাচে গম্ভীরের ব্যাট থেকে এসেছিল ৪৩ রান।
পাকিস্তানের পক্ষে দুই সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ উল হক ও মোহাম্মদ হাফিজ পালন করেছেন ক্রীড়নকের ভূমিকা। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপের দুইটি ম্যাচে মিসবাহ খেলেছিলেন ৫৩ ও ৪৩ রানের লড়াকু ইনিংস। ২০১২ সালে দ্বিপক্ষীয় সিরিজের দুটি ম্যাচে হাফিজের ব্যাট থেকে এসেছিল ৪৪ বলে ৬১ ও ২৬ বলে ৫৫ রানের ইনিংস।
পাকিস্তানের বর্তমান দলে ক্রীড়নকের ভূমিকা পালন করতে পারেন অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক। ২০১২ সালে ৫৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। পাকিস্তানের পক্ষে ভারতের বিপক্ষে সবগুলো টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই খেলেছেন আফ্রিদি। ব্যাট হাতে অবশ্য খুব বেশি ভালো নৈপুণ্য দেখাতে পারেননি এই মারমুখী ব্যাটসম্যান। বল হাতে এই ছয়টি ম্যাচে নিয়েছেন চারটি উইকেট। এবার এই অভিজ্ঞ আফ্রিদির কাঁধেই আছে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেওয়ার ভার।

স্পোর্টস ডেস্ক