ইংল্যান্ডের ফাইনালে যাওয়ার লক্ষ্য ১৫৪ রান

২০১২ সালে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে উঠেই বাজিমাত করেছিল ইংল্যান্ড। জিতে নিয়েছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা। এবারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানোর হাতছানি আছে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের সামনে। সেজন্য অবশ্য প্রথমে পেরোতে হবে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড বাধা। ২০১২ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে যাওয়ার জন্য ইংল্যান্ডকে করতে হবে ১৫৪ রান।
শুরুটা ভালোভাবে করলেও শেষটা ভালো হয়নি নিউজিল্যান্ডের। কেইন উইলিয়ামসন ও কলিন মুনরোর ভালো ব্যাটিংয়ে প্রথম ১০ ওভারে ৮৯ রান জমা করেছিল কিউইরা। কিন্তু শেষ ১০ ওভারে ৭টি উইকেট হারিয়ে তারা সংগ্রহ করতে পেরেছে মাত্র ৬৪ রান। সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস এসেছে মুনরোর ব্যাট থেকে। ইংল্যান্ডের পক্ষে দারুন বোলিং করে তিনটি উইকেট নিয়েছেন বেন স্টোকস।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণভাবে করেছিলেন মার্টিন গাপটিল। প্রথম দুই ওভারে তিনটি চার মেরে করেছিলেন ১৫ রান। কিন্তু খুব বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি এই কিউই ওপেনার। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই ফিরে গেছেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ৭৪ রানের জুটি গড়ে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে গেছেন আরেক ওপেনার কেইন উইলিয়ামসন ও কলিন মুনরো। একাদশ ওভারে অবশ্য উইলিয়ামসনকে আউট করে ইংল্যান্ড শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়েছেন মঈন আলী। ৩২ রান করে ফিরে গেছেন উইলিয়ামসন। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর রানের চাকাও ঘুরেছে বেশ আস্তে আস্তে। ১১ থেকে ১৫ ওভারের মধ্যে কিউইরা সংগ্রহ করতে পেরেছে মাত্র ৩২ রান। ১৪তম ওভারে মুনরোও ফিরে গেছেন ৩২ রান করে। বড় ইনিংস খেলতে পারেননি রস টেলর ও লুক রনকি। আউট হয়েছেন ৬ ও ৩ রান করে। ১৮তম ওভারে অ্যান্ডারসনও সাজঘরে ফিরেছেন ২৮ রান করে।
বিশ্বকাপের শুরু থেকেই নিউজিল্যান্ড আছে দারুণ ফর্মে। গ্রুপ অব ডেথ থেকে সবগুলো ম্যাচ জিতেই সেমিফাইনালে পা দিয়েছিল কিউইরা। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু করলেও পরের তিনটি ম্যাচ জিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ইংল্যান্ড।
দুই দলই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলছে দ্বিতীয়বারের মতো। ২০০৭ সালের প্রথম আসরের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল নিউজিল্যান্ডকে। অন্যদিকে ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো নক আউট পর্বে গিয়েই বাজিমাত করেছিল ইংল্যান্ড। সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কা ও ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে জিতেছিল বিশ্বকাপ শিরোপা।