বিতর্কের বোঝা মাথায় নিয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল আবাহনী। অধিনায়ক তামিম ইকবালের বিরুদ্ধে ছিল আম্পায়ারের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ। সেই সবকিছুর জবাব আবাহনী দিয়েছে দুর্দান্ত ঝড়ো ব্যাটিং করে। ওপেনার লিটন দাস ও ভারতীয় ক্রিকেটার দিনেশ কার্তিকের শতক এবং শেষপর্যায়ে সাকিব আল হাসানের ঝড়ো ব্যাটিং ভর করে আবাহনী গড়েছে ৩৭১ রানের পাহাড়।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি আবাহনীর। প্রথম ১৪ ওভারের মধ্যে ৬৪ রান জমা করতেই সাজঘরে ফিরেছিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল (২২) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (৭)। তবে এর পর মোহামেডানের বোলারদের নাজেহাল করে দিয়েছেন লিটন ও কার্তিক। তৃতীয় উইকেটে তাঁরা গড়েছেন ১৬২ রানের দারুণ জুটি। ৩৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে লিটন খেলেছেন ১২৫ বলে ১৩৯ রানের ইনিংস। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলার পথে লিটন মেরেছেন ১৮টি চার ও একটি ছয়। ৯৭ বলে ১০৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে কার্তিক আউট হয়েছেন ইনিংসের ৪৭তম ওভারে।

লিটন আউট হওয়ার পর উইকেটে এসে সাকিবও ভুগিয়েছেন মোহামেডানের বোলারদের। একের পর এক চার-ছয় মেরে মাত্র ২৪ বলেই করেছেন ৫৭ রান। অর্ধশতক পূর্ণ করেছেন মাত্র ২২ বল খেলে। ৪৮তম ওভারে সাকিব আউট না হয়ে গেলে আবাহনীর সংগ্রহটা হয়তো আরও বড় হতো। শেষপর্যায়ে মোসাদ্দেক হোসেন করেছেন ৮ বলে ১৯ রান।

৩৭২ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপের মুখে পড়েছে মোহামেডান। প্রথম ৩ ওভারের মধ্যে মাত্র ৮ রান সংগ্রহ করতেই হারিয়েছে দুই ওপেনার ইজাজ আহমেদ ও সৈকত আলীর উইকেট। এ প্রতিবেদন লেখার সময় ৭ ওভার শেষে মোহামেডানের স্কোর : ২৬/২।