অলিম্পিক মশাল বহন করলেন ড. ইউনূস
ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে খেলোয়াড়ের পোশাক পরে অলিম্পিক মশাল বহন করলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ শুক্রবার ঢাকায় ইউনূস সেন্টার থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অপর একজন সেলিব্রিটির হাত থেকে মশাল নেওয়ার সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন ড. ইউনূস। এরপর প্রজ্বলিত মশাল হাতে নিয়ে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়ানো বিপুল জনতার তুমুল করতালি ও হর্ষধ্বনির মধ্য দিয়ে ২০০ মিটার হেঁটে যান তিনি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মশাল নিয়ে হাঁটার সময় প্রফেসর ইউনূস এক হাতে মশাল উঁচু করে ধরে ছিলে আর অন্য হাত তুলে তিন আঙুল প্রদর্শন করছিলেন যার উদ্দেশ্য ছিল ‘তিন শূন্য’-এর লক্ষ্য অর্জনে বিশ্ববাসীকে উদ্বুদ্ধ করা। এই তিন শূন্যর অর্থ হচ্ছে সামাজিক ও পরিবেশগত লক্ষ্য অর্জনে ‘শূন্য দারিদ্র’, ‘শূন্য বেকারত্ব’ ও ‘শূন্য নিট কার্বন নিঃসরণ’। তিনি অলিম্পিকের সব কর্মসূচিতে একটি সামাজিক মাত্রা যোগ করার জন্য প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির গতকালের বার্ষিক সাধারণ সভায় তাঁর ভাষণের মূল বক্তব্যও ছিল এটাই।
ইউনূস সেন্টার জানায়, মশাল হাতে ড. ইউনূসের গমন পথে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়ানো অগণিত শিশু, তরুণ-তরুণী এবং পুরুষ ও নারীরা তাদের এলাকার সংঘঠিত এই ঐতিহাসিক দৃশ্যের ছবি তুলছিল ও ভিডিও করছিল। দর্শকদের অনেকেই তাঁকে ক্ষুদ্রঋণের জনক বলে চিনতে পেরেছিল যা ব্রাজিলেও বেশ জনপ্রিয়। পৃথিবীর সব দেশ থেকে আসা টেলিভিশন ও প্রিন্ট মিডিয়ার অগণিত ট্রাক, যা অলিম্পিক গেমসের অনুষ্ঠান কাভার করতে এসেছে এই স্মরণীয় মুহূর্তগুলো তাদের ক্যামেরায় ধারণ করছিল। তাঁর মশাল বহনের শেষ পর্যায়ে ড. ইউনূস তাঁর হাতের মশাল কানাডার প্রাক্তন গভর্নর জেনারেল ও বর্তমানে ফ্রাংকোফোন দেশগুলোর ইউনিয়নের সেক্রেটারি জেনারেল মিশেল জিনের হাতে তুলে দেন। এ সময়ে চারদিকে সংগীত ও তুমুল উচ্ছ্বাসের এক অভূতপূর্ব আবহ তৈরি হয়। মশাল বহনের পর্বটি www.globosporte.com –এ সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

অনলাইন ডেস্ক