পারমাণবিক কেন্দ্রে নাশকতায় সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করল ইরান
পারমাণবিক কেন্দ্রে নাশকতার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে তাঁর ছবি প্রকাশ করেছে ইরান। ইরানি সংবাদমাধ্যম পার্সটুডে ও যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর দিয়েছে।
ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় বলছে, রেজা কারিমি নামের ওই ব্যক্তি নাশকতার ঘটনার আগেই বিদেশে পালিয়ে গেছেন। তবে আইনি পন্থায় তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
গত রোববার ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্রের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থায় গোলযোগ সৃষ্টির খবর আসে। একে সন্ত্রাসীকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ।
এরপর দেশটির জাতীয় পরমাণু সংস্থার প্রধান আলী আকবর সালেহিও বলেন, এটি নাশকতা ছিল এবং নাশকতার আলামত পাওয়া গেছে। নাশকতার পেছনে ইসরায়েল জড়িত রয়েছে বলে দাবি করেন ইরানি কর্মকর্তারা।
গত রোববার নাশকতার আগের দিন শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি নাতাঞ্জ কেন্দ্রে নতুন সেন্ট্রিফিউজ উদ্বোধন করেন। সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদনে সেন্ট্রিফিউজ যন্ত্রটি কাজে লাগে। পরে ওই ইউরেনিয়াম ব্যবহার করে রিয়্যাক্টর ফুয়েল বা পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা যায়। ইরান জানিয়েছে, ভূগর্ভে নতুন করে দেড়শ সেন্ট্রিফিউজ চালু করা হচ্ছে।
এই সেন্ট্রিফিউজ উৎপাদনকেও ২০১৫ সালের চুক্তির আরেক দফায় লঙ্ঘন হিসেবে দেখা হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী ইরান শুধুমাত্র বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহারের জন্য সীমিত পর্যায়ে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে।
২০১৮ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্র ওই চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর কার্যত ইরান আর ওই চুক্তির পরোয়া করছে না। নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন নতুন করে ইরানকে চুক্তিতে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে।