সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে নতুন গাইডলাইন অনুমোদন শি জিনপিংয়ের
যুক্তরাষ্ট্র তাদের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল প্রকাশ করার এক মাস পর এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার চলমান যুদ্ধের মধ্যেই সামরিক রসদ সংগ্রহের মাধ্যমে নিজেদের শক্তি বাড়াতে নতুন গাইডলাইনের অনুমোদন দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বার্তা সংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
১৩তম ন্যাশনাল পিপলস কনগ্রেসের পঞ্চম বার্ষিক সেশনের শুরুর দিনে ২০২২ সালের জন্য প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বাড়িয়েছে চীন। তবে, এটি নতুন কিছু নয়।
চীনের নতুন ওই গাইডলাইনের ছয়টি অধ্যায়ে ৩৫টি অনুচ্ছেদ রয়েছে। চীনের দখলদারিত্বমূলক ক্ষমতা শক্তিশালী করতে গত ২০ মার্চ এ গাইডলাইন অনুমোদন দেওয়া হয়। চীনের সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহ প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করবে এ নতুন আইন।
অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের তুলনায় চীনের প্রতিরক্ষা বাজেট বেড়েই চলেছে। চীন কীভাবে তার সামরিক ব্যয় বণ্টন করে, সে সম্পর্কে সবসময়ই গোপনীয়তা মেনে চলেছে। প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানোর মাধ্যমে চীন মূলত বৈশ্বিক পর্যায়ে তার সামরিক প্রভাব অর্জনের চেষ্টা করছে।
২০৫০ সালের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ হওয়ার লক্ষ্য রয়েছে চীনের, যাকে পরাজিত করা যাবে না। হংকং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের প্রতিরক্ষা বাজেট যেভাবে বেড়ে চলেছে, এর মাধ্যমে তারা আরও সাহসী হয়ে উঠতে পারে। হুমকি ও সহিংসতার মাধ্যমে বিশ্ব পরিস্থিতিকে নতুন আকার দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে এগোচ্ছে তারা।
চীন তার সামরিক শক্তির সাহায্যে বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। তাইওয়ান এখনও বিতর্কের আরেকটি বিষয়। চীন এ অঞ্চলটিকে তার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করার অঙ্গীকার করেছে।
এ বছর বেইজিংয়ের প্রতিরক্ষা ব্যয় ২২৯ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় যা ৭ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। গত বছর চীনের প্রতিরক্ষা বাজেট ছিল ২০৯ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। ২০২০ সালের তুলনায় যা ৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি ছিল।
দুবছর আগে চীন প্রতিরক্ষা ব্যয় ৬ দশমিক ৬ শতাংশ বাড়িয়েছিল। সেসময় কোভিডের কারণে বাজেট বেশি বাড়ানো হয়নি। ২০১৯ সালে বাজেট সাড়ে ৭ শতাংশ এবং ২০১৮ সালে ৮ দশমিক ১ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল।