সিনেটে ট্রাম্পের ঐতিহাসিক বিচার শুরু আজ
মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসনের বিচার শুরু হচ্ছে আজ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এই বিচার শুরু হবে। এ বিচারকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গন।
ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে প্রতিনিধি পরিষদে ট্রাম্পের অভিশংসিত হওয়ার তথ্যপ্রমাণের নথি মামলা আকারে সিনেটে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে মামলা লড়তে পাঁচজন অভিজ্ঞ আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প। গতকাল সোমবার সিনেটে অভিশংসন ধারার ওপর ট্রাম্পকে নির্দোষ দাবি করে আনুষ্ঠানিক নথি জমা দিয়েছেন তাঁর আইনজীবীরা। আর এই দাবির ওপর ভিত্তি করে বিচারের প্রাথমিক লড়াই শুরু করবেন তারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
এদিকে সিনেটে বিচারের সঙ্গে সম্পর্কিত কর্মকর্তারা মনে করছেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে ট্রাম্পের বিচার শেষ হতে পারে। সিনেটররা দিনে ছয়ঘণ্টা এবং সপ্তাহে ছয়দিন এই শুনানিতে উপস্থিত থাকবেন। এতে সভাপতিত্ব করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস।
তবে ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত নিম্নকক্ষে যেমন ট্রাম্পের অভিশংসন ঠেকানো যায়নি, তেমনি রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেটেও প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করা সম্ভব হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এ নিয়ে তৃতীয়বার কোনো প্রেসিডেন্টকে অভিসংশন বিচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাটিক নেতা জো বাইডেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করতে ইউক্রেনকে চাপ দিয়েছিলেন ট্রাম্প এবং কংগ্রেসের কাজে বাধা দিয়েছেন, এমন দুটি অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিসংশন প্রস্তাব আনা হয়।
ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে ক্ষমতাচ্যুত করতে হলে সিনেটের ১০০ সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৬৭ জন সিনেটরের হ্যাঁ-সূচক ভোট প্রয়োজন হবে। কিন্তু সিনেটে ৪৭ জন ডেমোক্র্যাট সদস্য থাকায় এখানে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাই এ যাত্রায় ঝামেলামুক্তই থেকে যাচ্ছেন ট্রাম্প, এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে সিনেটে বিচার যখন শুরু হবে, সে মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অর্থনৈতিক সম্মেলনে থাকবেন।