কানাডায় ‘ধারণার চেয়ে বেশি’ আদিবাসী নারী খুন
কানাডায় খুন বা নিখোঁজ হওয়া আদিবাসী নারীর সংখ্যা ‘ধারণার চেয়ে বেশি’ হবে বলে নিশ্চিত হয়েছে দেশটির সরকার। দেশটির পুলিশ বলছে, এ সংখ্যা চার হাজার হতে পারে।
২০১৪ সালে রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৮০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দেশটিতে খুন বা নিখোঁজ হওয়া আদিবাসী নারীর সংখ্যা এক হাজার ২০০ হবে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার কানাডার আদিবাসীবিষয়ক মন্ত্রী কারলন বেন্নেট বলেন, দেশটিতে খুন বা নিখোঁজ হওয়া আদিবাসী নারীদের প্রকৃত সংখ্যা চার হাজার হতে পারে।
কানাডার রাজনীতিক প্যাট্টি হাজডু বলেন, সরকারের কাছে আদিবাসী নারীদের নিখোঁজ হওয়ার প্রকৃত তথ্য নেই। তবে দেশটির গবেষণা প্রতিষ্ঠান নেটিভ উইমেনস অ্যাসোসিয়েশন অব কানাডার (এনডব্লিউসি) তথ্যমতে, এই সংখ্যা হবে প্রায় চার হাজার।
আদিবাসীদের সঠিক সংখ্যা জানতে সম্প্রতি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বড় ধরনের অভিযান শুরু করেছেন।
২০১৪ সালের সমীক্ষার বিষয়ে কানাডার আদিবাসীবিষয়ক মন্ত্রী কারলন বেন্নেট বলেন, ওই সময় মনে করা হয়েছিল, আদিবাসী নারীদের সংখ্যা দেড় হাজারের মতো হবে।
২০১৪ সালে কানাডার রেড নদীর কাছে ১৫ বছর বয়সী এক আদিবাসী তরুণীর লাশ পাওয়া যায়। এ হত্যার অভিযোগে ২০১৫ সালে রেমন্ড করমির নামের ৫৩ বছর বয়সী এক লোককে গ্রেপ্তার করে দেশটির পুলিশ।
২০১৫ সালের এপ্রিলে বিবিসির এক সমীক্ষার তথ্যে বলা হয়, প্রতিবছর কানাডার নদীর পাশে অনেক আদিবাসী নারীর লাশ পাওয়া যাচ্ছে। আর বছরের ব্যবধানে নিখোঁজ হওয়া নারীর সংখ্যাও বাড়ছে।
এ ব্যাপারে বড় ধরনের অভিযান ও তদন্ত করে ঘটনার প্রতিকার করবেন বলে জাস্টিন ট্রুডো দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার সময় অঙ্গীকার করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এটি হবে তাঁর সরকারের কার্যতালিকায় অগ্রাধিকার।

অনলাইন ডেস্ক