উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জবাব দেবে জাতিসংঘ
সর্বশেষ দুটি মধ্যম পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে কঠোর কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে জাতিসংঘ। সিদ্ধান্তের ব্যাপারেই এখন প্রস্তুতি চলছে। সম্প্রতি চীনে নিযুক্ত জাতিসংঘের দূত লিউ জেইয়ি এ তথ্য জানান।
বিবিসি জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুটি মধ্যম পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এর আগে গত ১৫ এপ্রিল দেশটি একই রকম পরীক্ষা চালিয়েছিল।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলেন, উত্তর কোরিয়ার মধ্যম পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সবগুলোই ব্যর্থ হয়েছে। তবে জাতিসংঘের মুখপাত্রের মতে, এমন পরীক্ষা আরোপিত নিষেধাজ্ঞার স্পষ্ট লঙ্ঘন।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের শুরুতে জাতিসংঘ আরোপিত নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়া তাদের পঞ্চম পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গতকাল সকালে উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলীয় শহর ওনসানে প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিস্ফোরিত হয়। পরে ওই দিনই সন্ধ্যায় দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। এই পরীক্ষাও ব্যর্থ হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল পরীক্ষা চালানো উত্তর কোরিয়ার দুটি ক্ষেপণাস্ত্রই মধ্যম পাল্লার। দেশটিতে এমন ক্ষেপণাস্ত্রকে মুসুদান বলা হয়। এই ক্ষেপণাস্ত্র তিন হাজার কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত কোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এর মানে হলো, উত্তর কোরিয়ার এমন ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অংশে আঘাত হানতে পারবে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত জাপানের দূত মোতোহিদ ইয়োশিকাওয়া বলেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা দেশটির জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকির।
আন্তর্জাতিক পর্যক্ষেকরা মনে করেন, আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির সম্মেলন উপলক্ষে নিজেদের অস্ত্রের সক্ষমতা দেখাতে চাইছে উত্তর কোরিয়া। প্রায় ৪০ বছর পর দেশটিতে এমন সম্মেলনে হতে যাচ্ছে।