ইউপি নির্বাচনে পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে কাউকে ছাড় দেব না : কবিতা খানম

Looks like you've blocked notifications!
জয়পুরহাট জেলা কালেক্টরেট কনফারেন্স রুমে শনিবার রাতে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম। ছবি : এনটিভি

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে ভোট কারচুপি বা কোনো ধরনের অনিয়ম বরদাশত করা হবে না উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম কবিতা খানম বলেছেন, ‘আমরা কাউকেই ছাড় দেব না। রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রিজাইডিং অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ আমাদের নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কোনো কর্মকর্তা যদি পক্ষপাতমূলক আচরন করেন, তাহলে সবার বিরুদ্ধেই আইনের ব্যবস্থা হবে।’

জয়পুরহাট জেলা কালেক্টরেট কনফারেন্স রুমে গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন কবিতা খানম।

এ সময় কবিতা খানম আরও বলেন, ‘ভোট গ্রহণে কেউ যদি কোনো বাধা দেওয়ার এতটুকুও চেষ্টা করেন, তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কারণ, আমরা কিন্তু চোখ বন্ধ করে থাকব না। আমাদের এখানে ম্যাজিস্ট্রেট, প্রতি ইউনিয়নে ভোটের দিন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, স্ট্রাইকিং ফোর্স বিজিবি, র‍্যাব থাকবে। শুধু সেনাবাহিনী ছাড়া কোনো বাহিনী নেই? তাহলে এটা কীসের আলামত বহন করে যে, এতগুলো বাহিনী দিয়ে আমরা নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার চেষ্টা করছি।’

ইসি কবিতা খানম আরও বলেন, ‘গত নির্বাচনে একজন প্রিজাইডিং অফিসারকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। এ ছাড়া দুজন ভোটারকে আমরা ভোটকেন্দ্র থেকে গ্রেপ্তার করেছি এবং এক বছরের সাজা দিয়েছি শুধু ভোটে বিঘ্ন ঘটানোর অপপ্রয়াস করার জন্য। সুতরাং, একটা ভোটকে সুষ্ঠু করার জন্যই কিন্তু আমরা এতগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি।’

জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডিই-এর প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদের। এ ছাড়া অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মো. মাছুম আহাম্মদ ভুঞা, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক ইশরাত ফারজানা ও জেলা নির্বাচন অফিসার আমিনুর রহমান মিঞা প্রমুখ।