গাজীপুর সিটি নির্বাচন

কেন আজমত উল্লা'র প্রার্থিতা বাতিল নয়, জানতে চেয়েছে ইসি

Looks like you've blocked notifications!
নির্বাচন ভবন। ফাইল ছবি এনটিভির

গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়রপ্রার্থী মো. আজমত উল্লা খানের প্রার্থিতা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাত সাড়ে ১০ টায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে ইসির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হক স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠিতব্য গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে গত ২৭ এপ্রিল মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়রপ্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খানকে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য ৩০ এপ্রিল স্মারকমূলে ব্যাখ্যা তলব করা হয়। তা সত্ত্বেও আজ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি সভা করে মেয়র পদপ্রার্থী আজমত উল্লা খানের পক্ষে ভোট চেয়েছেন। যেখানে মেয়র পদপ্রার্থী আজমত উল্লা খান উপস্থিত ছিলেন, যা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই কার্যক্রম সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬-এর বিধি ৫ এর পরিপন্থী। আচরণ বিধিমালার বিধি ৫ লংঘনের জন্য বিধি ৩২ অনুযায়ী প্রার্থিতা বাতিলের বিধান রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে মো. আজমত উল্লা খানকে ইতিপূর্বে সতর্ক করা সত্ত্বেও প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে নির্বাচনি প্রচারণা করার ফলে আচরণবিধিমালার ৫ বিধি ভঙ্গের দায়ে কেন তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে আগামী ৭ মে বিকেল তিনটায় ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্বাচন কমিশন আজ বৃহস্পতিবারের সভায় সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ছাড়া, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল সভা করে মেয়র পদপ্রার্থী আজমত উল্লা খানের উপস্থিতিতে তার পক্ষে ভোট চেয়ে সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ লঙ্ঘন করেছেন। এ বিষয়টি প্রতিমন্ত্রী জনাব মো. জাহিদ আহসান রাসেলের গোচরে নেওয়ার জন্য তার একান্ত সচিবকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে চিঠি দেওয়া হয়েছে।