গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন কাল
বহুল আলোচিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন আগামীকাল বুধবার (৪ জানুয়ারি ২০২৩)। সব কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হচ্ছে ভোটের সামগ্রী।
আজ মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপস্থিত হয়েছেন কেন্দ্রগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিং অফিসার, পুলিশ সদস্য, আনসার-ভিডিপির সদস্যরা। তাঁরা ভোটের সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রে কেন্দ্রে।
গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ১৪৫ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৯৫২ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ১৯০৪ জন পোলিং অফিসার। সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার সাতটিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসন গঠিত। ফুলছড়ি উপজেলায় মোট এক লাখ ১৪ হাজার ৬৭৩ জন ও সাঘাটা উপজেলায় দুই লাখ ২৫ হাজার ৭০ জন ভোটার রয়েছেন। এরমধ্যে দুই উপজেলায় পুরুষ ভোটার এক লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৭০ হাজার ১৬০ জন।
এই উপনির্বাচনে চারজন সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের (বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি) মাহমুদ হাসান রিপন (নৌকা), জাতীয় পার্টির (জাপার) প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ এম গোলাম শহিদ রঞ্জু (লাঙল), বিকল্পধারা বাংলাদেশর অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ট্রাক)।
উপনির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা থাকলেও গত ২৫ ডিসেম্ভর বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে ভোট কারচুপির আশঙ্কায় আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ নাহিদুজ্জামান নিশাদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
এই উপনির্বাচনের দায়িত্বরত সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব জানান, ভোটগ্রহণ যাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়, সেই লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে সংসদীয় ৩৩ (গাইবান্ধা-৫) আসনটি শূন্য হয়। ফলে সংসদীয় এই আসনে গত ১২ অক্টোবর ভোটগ্রহণ চলাকালে নানা অনিয়মের অভিযোগ সেটি বন্ধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফের কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।