নওগাঁয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘন, নির্বিকার নির্বাচন কর্মকর্তা

Looks like you've blocked notifications!

নওগাঁর মহাদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ‘ফ্রি স্টাইলে’ চলছে আচরণবিধি লঙ্ঘন। কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেন না প্রার্থীরা। প্রার্থীদের গণসংযোগ থেকে পোস্টারিং কিংবা মাইকিং সব ক্ষেত্রেই আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। এ ব্যাপারে নির্বাচন কর্মকর্তা যেন এক রকম নির্বিকার।

সবচেয়ে বড় অভিযোগ উঠেছে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার হাতুড় ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মতিন মণ্ডলের বিরুদ্ধে। বিএনপি নির্বাচনে না এলেও তিনি ব্যানার ও পোস্টারে লিখেছেন বিএনপি কর্তৃক সমর্থিত।

এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন অফিসের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। তাঁদের এমন ভূমিকায় আচরণবিধি লঙ্ঘনে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। যদিও এসব দেখার জন্য জেলার তিন উপজেলায় তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে তাঁদের তেমন তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।

এ বিষয়ে মহাদেবপুর উপজেলার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও হাতুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মতিন মণ্ডল বলেন, ‘বিষয়টি আমার অজান্তে হয়েছে। অভিযোগের পরে সংশোধন করে নতুন পোস্টার লাগানো হচ্ছে। পুরাতন পোস্টারগুলো উঠানো সম্ভব হয়নি।’

নওগাঁ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু জানান, ‘এটি কোনোভাবেই একজন প্রার্থী লিখতে পারেন না। বিএনপি ইউপি নির্বাচন করছে না,  যদি কেউ লিখে থাকে তাহলে এর দায়ভার বিএনপি নিবে না।’

মহাদেবপুর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা সালাউদ্দীন সরকার বলেন, ‘১১ ডিসেম্বর অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ওই প্রার্থীকে ফোন করে বিকেল ৪টার মধ্যেই সব পোস্টার ব্যানার সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু আজ সোমবার অভিযোগ পেলাম তিনি তা করেননি। এখন আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেটের অভাবে তা করা সম্ভব হচ্ছে না। ম্যাজিস্ট্রেট পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

মহাদেবপুর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার মাধ্যমে জানলাম। বিষয়টি নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এভাবে চলতে থাকলে সামনে নির্বাচনি পরিবেশ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে, নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে পরিস্থিতি-এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশিষ্টজনরা।