নৌকার ১ ভোট বাড়িয়ে ফলাফল সমান ঘোষণার অভিযোগ

Looks like you've blocked notifications!
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউপি নির্বাচনে নৌকার (বামে) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী। ছবি : সংগৃহীত

গত ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের এক ভোট বাড়িয়ে ফলাফল সমান করার অভিযোগ উঠেছে।

ওই ইউনিয়নের নির্বাচনে নয়টি ভোটকেন্দ্রে দেওয়া ফলাফল অনুযায়ী মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর চেয়ে এক ভোট কম পান নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। পরে তৈয়ব খান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের ফলাফল বিবরণী ঘষামাজা করে এক ভোট বাড়িয়ে ফলাফল সমান ঘোষণা করার অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর হোসেন।

এ ঘটনায় আলমগীর হোসেন কেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী চেয়ারম্যান পদে ফলাফল ঘোষণার জন্য রিটার্নিং অফিসার, প্রধান নির্বাচন কমিশন, জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর হোসেন অভিযোগ করেন, গত ২৬ ডিসেম্বর রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। ভোট গণনার পর নয়টি কেন্দ্রে দেওয়া ফলাফল অনুযায়ী তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পাঁচ হাজার ১৬৬ ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. তাইজুল ইসলাম নৌকা প্রতীক নিয়ে পান পাঁচ হাজার ১৬৫ ভোট। কিন্তু পরে ওই দিন রাতে উপজেলায় নির্বাচনি কন্ট্রোল রুম থেকে নির্বাচন অফিসার দুই প্রার্থীই পাঁচ হাজার ১৬৬ ভোট করে পেয়েছেন বলে ঘোষণা দেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর হোসেন অভিযোগ করেন, বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের তৈয়ব খান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে দেওয়া রেজালশিটে তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩১০ ভোট পান। আর নৌকা প্রতীক পায় ১৭৫ ভোট। ফলাফল ঘোষণার পর তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ওই কেন্দ্রের রেজাল্টশিট নিয়ে দেখতে পান সেখানে ঘষামাজা করে এক ভোট বাড়িয়ে নৌকা প্রতীকে ১৭৬ ভোট করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করলে নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা নানা রকম বর্ণনা দেন। এ অবস্থায় ভোটকেন্দ্রে দেওয়া রেজাল্টশিট অনুযায়ী ফলাফল ঘোষণার দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। জরুরি কাজে আমার অফিসে গিয়েছিলাম।

বিদ্যানন্দ ইউনিয়নে নিযুক্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাজারহাট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের কাছে দুই ধরনের রেজাল্টশিট ও ঘষামাজার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে এক ধরনের রেজাল্টশিট রয়েছে। ঘষামাজার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা প্রিজাইডিং কর্মকর্তার ব্যাপার।

এ ব্যাপারে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের তৈয়ব খান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ও রাজারহাট মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, নৌকা প্রতীকে সিলমারা আরও একটি ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে। সে অনুযায়ী নৌকা প্রতীকের ভোট ১৭৫ থেকে ১৭৬ করা হয়েছে। আলাদা আলাদা দুটি রেজাল্টশিটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমনটা হওয়ার কথা নয়।