১৩ দিন পর নৌকার ভোট বেড়েছে ১৬৮৬

Looks like you've blocked notifications!
বরগুনার এম. বালিয়াতলী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে পুনঃভোটে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম নাসির। ছবি : এনটিভি

বরগুনার এম. বালিয়াতলী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে পুনঃভোটে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম নাসির বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন আট হাজার ৩৩৯ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ বারী বাদল আনারস প্রতীকের পেয়েছেন ছয় হাজার ৬৫৩ ভোট।

গত ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে এম. বালিয়াতলী ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সমভোট পান নাসির এবং বাদল। তারা উভয়েই পান পাঁচ হাজার ৭০০ ভোট করে। পরে এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার জন্য পুনরায় ভোটগ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন।

এ বিষয়ে এম. বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে পুনঃভোটগ্রহণের রিটার্নিং অফিসার বরগুনার বেতাগী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী সহীদুল ইসলাম বলেন, ‘এম. বালিয়াতলী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে পুনঃ ভোটগ্রহণে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম নাসির এক হাজার ৬৮৬ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।’

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এম. বালিয়াতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে পুনঃ নির্বাচনে ২২ হাজার ৮৭১ জন ভোটারের মধ্যে ১৫ হাজার ১৭৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এর মধ্যে যথাযথভাবে ভোট প্রদান না করায় ১৭১টি ভোট বাতিল করা হয়েছে।

এর আগে সকাল ৮টায় এম. বালিয়াতলী ইউনিয়নের নয়টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা চলে একটানা বিকেল চারটা পর্যন্ত।

ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা এবং নির্বিঘ্নে ভোটগ্রহণের জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি আটজন পুলিশ সদস্য এবং ১৭ জন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়। এছাড়াও নির্বাচনী এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ২ প্লাটুন র‍্যাবের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করে পুলিশের ৯টি মোবাইল টিম এবং তিনটি স্পেশাল টিম। একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও দায়িত্ব পালন করেন নির্বাচনী এলাকায়।

গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে সর্বোচ্চ সমভোট পাওয়ার কারণে বরগুনার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের পাশাপাশি আজ একই দিনে ভোটগ্রহণ হয়েছে দেশের ১৪ জেলার ১৫টি ইউনিয়নের ১২টি ওয়ার্ডের সদস্য পদে এবং তিনটি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে।