৯ জুলাই পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বসবে ইসি

Looks like you've blocked notifications!
নির্বাচন ভবন। ফাইল ছবি

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এরই মধ্যে গত ১৩ ও ২২ মার্চ এবং ৬ ও ১৮ এপ্রিল যথাক্রমে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদক/সিনিয়র সাংবাদিক এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রধান নির্বাহী/প্রধান বার্তা সম্পাদক/সিনিয়র সাংবাদিকদের সংলাপ সম্পন্ন হয়েছে। ঈদের বিরতি শেষে ৯ জুন এবার নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আজ বুধবার ইসির যুগ্মসচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আগামী ৯ ‍জুন নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসবে কমিশন।

জানা যায়, ৯ জুন সকাল ১১টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে ইসির নিবন্ধনে থাকা ১১৮টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার মধ্য থেকে ৩২ জন প্রতিনিধিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

আমন্ত্রণ পেয়েছেন যাঁরা

লাইট হাউসের নির্বাহী প্রধান মো. হারুন অর রশিদ, আইন ও সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক নাজমুন নাহার, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মোহাম্মদ আবেদ আলী, কোস্ট ট্রাস্ট-এর নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী, হাইলাইট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. সহিদুল ইসলাম, আদর্শ পল্লী উন্নয়ন সংস্থা (আপউস)-এর নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল হাই, বাংলাদেশ আলোকিত প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন সোসাইটির চেয়ারম্যান সানজিদা রহমান, মুভ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট সাইফুল হক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ (জানিপপ) এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, এসোসিয়েশন ফর সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট অব বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক সঞ্চিতা তালুকদার, ডরপ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম নোমান, টিএমএসএস এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপিকা ড. হোসনে আরা বেগম, হিউম্যান রাইটস ডিজএবিলিটি এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান মো. রাজীব শেখ, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা-মানবাধিকার এর নির্বাহী পরিচালক মো. জালাল উদ্দিন, রুপনগর শিক্ষা স্বাস্থ্য সহায়তা ফাউন্ডেশন (রিহাফ) এর চেয়ারম্যান এই এম আব্দুর রাজ্জাক, মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা-মওউস এর চেয়ারম্যান ড. মো. গোলাম রহমান ভূঁইয়া, পিপলস ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন (পপি) এর নির্বাহী পরিচালক মোর্শেদ আলম সরকার, জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন ফর হিউম্যান রাইটস এন্ড ওয়েলফেয়ার এর মহাসচিব মো. আসিফ মাহমুদ, উত্তরণ এর প্রধান নির্বাহী শহিদুল ইসলাম।

ডেমোক্রেসিওয়াচ-এর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক ওয়াজেদ ফিরোজ, প্রিপ ট্রাস্ট এর নির্বাহী পরিচালক অ্যারমা দত্ত, ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি) এর নির্বাহী পরিচালক নুমান আহমেদ খান, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক খন্দকার ফারুক আহমেদ, ইন্টিগ্রেটেড সোসাইটি ফর উম্যান অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ এর নির্বাহী পরিচালক লুৎফুন নাহার, দি গুড আর্থ এর নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, খান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট রোখসানা খন্দকার, বিবি আছিয়া ফাউন্ডেশন এর সাধারণ সম্পাদক (সিইও) মো. মনির হোসেন, লুৎফর রহমান ভূইয়া ফাউন্ডেশন (এলআরবি) এর নির্বাহী পরিচালক সুলতানা রাজিয়া, ব্রতী’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ, ফেমা’র প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন এর মহাসচিব সাইফুল ইসলাম ও ইলেকশন স্পেশালিস্ট ড. আবদুল আলীম।

এ ছাড়া সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের অভিজ্ঞতা জানতে চান তাঁরা। এ উপলক্ষ্যে দেশ স্বাধীন থেকে শুরু করে এখন অবধি যত নির্বাচন কমিশনার এসেছেন, তাঁদের (জীবিত) আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সংলাপ থেকে সাবেকদের অভিজ্ঞতা জেনে-বুঝে ও বিচার-বিশ্লেষণ করে এগোতে চায় বর্তমান ইসি। এজন্য তাঁদের অভিজ্ঞতা শুনতে আগামী ১২ জুন সংলাপের আয়োজন করতে যাচ্ছে ইসি।

জানা গেছে, ইসিতে ১৯৭২ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৩ বার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) এ সংখ্যা অর্ধশতাধিক।