বান্দরবান পৌর উপনির্বাচনে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি

Looks like you've blocked notifications!
বান্দরবান পৌরসভায় উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। ছবি : এনটিভি

বান্দরবান পৌরসভায় উপনির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ে এখনো টিকে রয়েছে তিন জন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে আবেদন যাচাই বাছাই করে তিন জনের নামের তালিকা কেন্দ্রে পাঠিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।

কেন্দ্রে যাওয়া তালিকার প্রর্থীরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পদক ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মোজাম্মেলক বাহাদুর, বান্দরবান পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের তিন বারের নির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সৌরভ দাস শেখর এবং আওয়ামী লীগের বান্দরবান পৌরশাখার সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শামসুল ইসলাম।

কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের নৌকার মাঝি? এ নিয়ে চুলচেড়া বিশ্লেষণ শুরু করেছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। চায়ের আড্ডা থেকে অফিস আদালত সবখানেই আলোচনার বিষয়বস্তু এখন পৌরসভার উপনির্বাচন। প্রার্থী হিসেবে তিন জনই দলীয় মনোনয়নের দাবিদার। তিন জনই আশাবাদী দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে।

মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য প্রার্থীদের দাবি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নৌকার প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করবেন তাঁরা।

এদিকে উপনির্বাচন ঘনিয়ে এলেও বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ ও জনসংহতি সমিতি রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর মধ্যে কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি। কিন্তু ভোটারের সমীকরণ ভিন্ন। এই পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হতে হলে সব দলের এবং সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের ভোট লাগবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা বলেন, আওয়ামী লীগদলীয় প্রার্থী চ‚ড়ান্ত করার পর নির্বাচনি হাওয়ায় কিছুটা পরিবর্তন আসবে। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারমধ্যে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে ভোটের হিসাব যেকোনো মুহূর্তে পাল্টে যেতে পারে। কারণ বিএনপির জনসমর্থন ছাড়াও পরিবহণ শ্রমিক সংগঠনের বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে তাঁর পক্ষে।

নির্বাচন অফিসের তথ্যমতে, বান্দরবান পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র মো. ইসলাম বেবী গত ১৫ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করায় মেয়র পদটি শূন্য হয়। আগামী ১৭ জুলাই মেয়র পদে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৮ জুন। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৯ জুন এবং প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৫ জুন।

পৌরসভার মোট ভোটার হচ্ছে ৩১ হাজার ৭৭৯। তারমধ্যে পুরুষ ১৭ হাজার ৪৫৬ জন এবং নারী ১৪ হজার ৩২৩। গতবার নয় হাজার ৫৬১  ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রয়াত মো. ইসলাম বেবী।

জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মীপদ দাস বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী পাঁচজন কেন্দ্রীয়ভাবে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার মধ্য থেকে সাংগঠনিক তৎপরতা, জনসম্পৃক্ততা, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞা বিবোচনায় জেলা আওয়ামী লীগের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তিন জনের নাম চ‚ড়ান্ত করা হয়। এই তিন জনের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রী থেকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।