দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছাত্রলীগের সাবেক যেসব নেতা

Looks like you've blocked notifications!

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে দীর্ঘদিন নিজ এলাকায় ও কেন্দ্রে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। এর মধ্যে রয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক এক ডজন নেতা। যারা নিজ এলাকায় ইতোমধ্যে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। তারা শুধু নিজের প্রচার-প্রচারণাই নয়, দলের হাইকমান্ড ও সিনিয়র নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়িয়েছেন।

দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে নৌকার মাঝি হতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন। নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা ও মনোনয়ন বিক্রির তারিখও ঘোষণা করে দলটি।

দলীয় সূত্র মতে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল তাদের জয়ের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এরই মধ্যে নির্বাচনি ইশতেহার কমিটি গঠন করা হয়েছে। নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন মহলের মতামত। জানা গেছে, জনসাধারণের প্রত্যাশা অনুযায়ী ইশতেহার ঘোষণা করবে আওয়ামী লীগ। দলীয় সংসদীয় বোর্ডের মাধ্যমে ৩০০ আসনেই প্রার্থী চূড়ান্ত করবে দলটি।

নৌকার টিকিট পেতে আগ্রহী ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা হলেন  পিরোজপুর-১ আসন থেকে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক  ইসহাক আলী খান পান্না (১৯৯৪-১৯৯৮), শরীয়তপুর-৩ আসনে  সাবেক সভাপতি বাহাদুর বেপারী (১৯৯৮-২০০২), কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় কর খোকন (১৯৯৮-২০০২), ফরিদপুর-১ আসনে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার ২০০২-২০০৬, জামালপুর-৫ আসনে ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মারুফা আক্তার পপি, চট্টগ্রাম-৬ আসনে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন (২০০৬-২০১১), বাগেরহাট-৪ আসনে সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ (২০১১-২০১৫), মৌলভীবাজার-১ আসনে কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন (২০১৫-২০১৮)।

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন (ঢাকা-৮), বুয়েটের সাবেক ছাত্রলীগনেতা ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার (ভোলা-৩), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান রিপন (ঢাকা-৫) ও ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ফারুক (কুমিল্লা-৯)।

ঢাকা-৫ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান রিপন। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এ আসনের প্রত্যেকের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছি। আসনটি ঢাকার এন্ট্রি পয়েন্ট। এখানে জামায়াত-বিএনপির অবস্থানের বিরুদ্ধে রাজপথের আন্দোলন করে যাচ্ছি। জামায়াত-বিএনপির সব কর্মসূচি প্রতিহত করতে যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা আমার নেতাকর্মীরা দখলে রেখেছিল। সেটা এখনও দখলে আছে। যুব সমাজ আমার সঙ্গে কাজ করে।’

কামরুল হাসান রিপন বলেন, ‘সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। করোনাকালীন আমি প্রত্যেক ঘরে ঘরে গিয়েছি। এ ঈদে শেখ হাসিনার নির্দেশে কয়েক হাজার পরিবারকে বিভিন্ন উপহারসামগ্রী বিতরণ করেছি। তাই আমার বিশ্বাস মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার বিষয়টি দেখবেন।’

ভোলা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বুয়েটের সাবেক ছাত্রলীগনেতা ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ব্যবসা ও চাকরি করার সময় আমি আমার নিজ এলাকায় সব সময় যোগাযোগ ছিল। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোসহ প্রধানমন্ত্রী নির্দেশিত সকল ধরনের কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছি। রাজনীতির উদ্দেশ্য হলো মানুষের জন্য কিছু করা। সেটাতে নিজের সম্পর্ক ছিল ১০০ ভাগ। তাই আমার বিশ্বাস তিনি আমাকে মূল্যায়িত করবেন।’

নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মারুফা আক্তার পপি বলেন, ‘আমাদের রাজনীতির উদ্দেশ্য হলো মানুষের জন্য কিছু করা। রাজনৈতিক দলের সম্মেলন বা নির্বাচন রাজনৈতিক নেতাদের কাছে একটা উৎসবের বিষয়। উৎসবকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়ার জন্য আমরা কেউ সম্মেলনে প্রার্থী হই, নির্বাচনে প্রার্থী হই। সেই ধারাবাহিকতায় আমিও এবার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করব। দলের সভাপতি বা মনোনয়ন বোর্ড যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আলহামদুলিল্লাহ। নিজের সবকিছু উৎসর্গ করে এলাকার মানুষের জন্য নিজেকে নিবেদিত করব। মনোনয়ন না দিলেও মনোনয়ন বোর্ড যাকে মনোনয়ন দেবে, নৌকার পক্ষে তার জন্য সর্বোচ্চ শক্তি ও সামর্থ্য দিয়ে বিজয়ী করে নিয়ে আসব।’