নাটোর-১ আসন

গ্রাম পুলিশ এসকেন আলী লড়তে চান স্বতন্ত্র

Looks like you've blocked notifications!
নাটোরের লালপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ এসকেন আলী সংসদ সদস্য পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। ছবি : এনটিভি

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচনে নাটোরের চারটি আসনে এবার প্রার্থী হতে চান ৫১ জন। এরমধ্যে জমি বিক্রি করে স্বতন্ত্র প্রার্থী সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করে বেশি আলোচনায় এসেছেন লালপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ এসকেন আলী। 

বর্তমান সংসদ সদস্যসহ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে অনেক হেভিওয়েট নেতা যেমন দলীয় ফরম সংগ্রহ করেছেন, তেমনি দলের অনেক তৃণমূল পর্যায়ের নেতা ও সমর্থকও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে নিজেকে নিয়ে এসেছেন আলোচনায়।

গত বুধবার এসকেন আলী লালপুর উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে নাটোর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা সুলতানা।

ভোট পাগল গ্রাম পুলিশ এসকেন আলী এর আগে দুই বার তার লালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড সদস্য পদে ভোট করে পরাজিত হয়েছেন। একবার লালপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার পোস্টার ছাপালেও অর্থিক সংকটে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি তিনি। কিন্তু এবার তাঁর জেদ যেন উচ্চ মাত্রায়। নিজের বাড়ি সংলগ্ন এক কাঠা জমি আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি করে কিনেছেন সংসদ সদস্য পদে মনোনয়নপত্র। সব মিলিয়ে ইতোমধ্যে নির্বাচন বাবদ তিনি প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচও করে ফেলেছেন বলে জানান।

এসকেন আলী জানান, ২৭ বছরের কর্মজীবনে তিনি অনেক মানুষের সেবা করেছেন। পাশাপাশি ১৫টি ইউনিয়নের তাঁর যেসব সহকর্মী আছেন তাঁরাও তাঁকে সহযোগিতা করবেন বলে আশা করেন তিনি।

এ বিষয়ে লালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, তার পরিষদের গ্রাম পুলিশ এসকেনের সংসদ সদস্য পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহে তিনি হতবাক হয়েছেন। এসকেন আলী লালপুর উপজেলার বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামের মৃত আকবর আলী মণ্ডলের ছেলে।

এদিকে নাটোর-২ (সদর-নলডাঙ্গা) আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন কৃষক  আব্দুস সামাদ ভুইয়া। নাটোর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর-খোলাবাড়িয়া ইউনিয়নের দিয়ার সাতুরিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুস সামাদ ফসল বিক্রি করে সংগ্রহ করেছেন দলীয় মনোনয়ন ফরম। তিনি ওই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ বলে জানান। নিজেকে আওয়ামী পরিবারের সন্তান দাবি করে দলের হয়ে অনেক নির্যাতন সহ্য করেছেন বলে জানান তিনি। এজন্য এবার ফসল বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।

এর বাইরে নাটোর-৪ আসন থেকে দলের মনোনয়ন চেয়েছেন প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি ও তাঁর ছোট ভাই জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ শোভন।

আর নাটোর-১ আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়ন চেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ এবং তারই ভাতিজা লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ উদ্দিন ও শেফালী মমতাজের ছেলে শামীম আহমেদ সাগর।