‘নৌকাওয়ালারা পালানোর জায়গা পাবে না’ বলা আ.লীগ নেতাকে শোকজ

Looks like you've blocked notifications!
নরসিংদীর মাধবদী থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম। ফাইল ছবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নরসিংদী-১ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর মতবিনিময় সভায় ‘নৌকাওয়ালারা পালানোর জন্য জায়গা পাবে না’ বলা আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।

নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংসদীয় আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আসমা সুলতানা নাসরীন এই নোটিশ দেন। নোটিশে এই বক্তব্যের মাধ্যমে নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে।

সিরাজুল ইসলাম মাধবদী থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক। নোটিশ পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে তাকে হাজির হয়ে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।

গত বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে মাধবদী পৌরসভা মিলনায়তনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুজ্জামান কামরুলের মতবিনিময় সভা হয়। সেখানে সদর আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হীরুর (বীর প্রতিক) লোকজনকে উদ্দেশ্য করে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা যখন জানবেন মাধবদীর মেয়র মোশারফ হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ভাইয়ের জন্য নামছেন, তখন কেউ বাধা দিয়ে রাখতে পারবেন না। কাল থেকে নৌকাওয়ালারা পলাইবার জন্য জায়গা পাবে না।’ এই বক্তব্য শুনে উপস্থিত লোকজন হাসাহাসি শুরু করলে তিনি নিজের বক্তব্য সংশোধন করে বলেন, ‘নৌকা বলি না আমরা হীরুর নৌকা বলি, হীরু.. হীরু..। হীরুর লোকেরা পলাইবার জায়গা ইনশাল্লাহ পাবে না। ৭ তারিখে যে জাগরণ সৃষ্টি হবে এই নরসিংদীতে এই জাগরণের পরিণতিতে কামরুল ভাই (স্বতন্ত্র প্রার্থী) বিপুল ভোটে জয়ী হবে।’

মাধবদী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলামের এমন বক্তব্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীর মধ্যে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে শুরু হয় পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা-সমালোচনা।  এর ভিডিও চিত্র জাতীয় গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর মালিক মোহাম্মদ রাজিব নামে এক ব্যক্তি রিটার্নিং অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলামকে শোকজ করা হলো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. বদিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, এমন হুমকি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করে। নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের এমন ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।