আমিনুল হকের বার্ষিক আয় ৮৪ লাখ, নগদ আছে ২৫ লাখ

Looks like you've blocked notifications!
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৪ ও ৭ (সদর ও ত্রিশাল) আসনের প্রার্থী মো. আমিনুল হক। ছবি : এনটিভি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৪ ও ৭ (সদর ও ত্রিশাল) আসনের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আমিনুল হকের বার্ষিক আয় ৮৪ লাখ ছয় হাজার ৩৪৩ টাকা। এ ছাড়া তার কাছে নগদ রয়েছে ২৫ লাখ ২২ হাজার ১৪৭ টাকা। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দাখিল করা হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

হলফনামায় দেখা গেছে, পাঁচ তারকা আবাসিক হোটেল, নির্মাণ ও যানবাহন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আমিনুল হক। কৃষি খাতে তার বার্ষিক আয় রয়েছে দুই লাখ ৩৪ হাজার টাকা। বাড়ি ভাড়া বাবদ আয় তিন লাখ এক হাজার ৪৬৭ টাকা। ব্যবসা থেকে আয় ৫৫ লাখ ২৩ হাজার ৫৪ টাকা। সঞ্চয়পত্র বা ব্যাংক আমানত থেকে আয় ১৫ লাখ ১৯ হাজার ৮২২ টাকা। অন্যান্য আয় আট লাখ ২৮ হাজার টাকা। বিভিন্ন খাত থেকে তার মোট বার্ষিক আয় ৮৪ লাখ ছয় হাজার ৩৪৩ টাকা।

হলফনামায় আওয়ামী লীগের এই নেতার অস্থাবর সম্পদে উল্লেখ করা হয়েছে, নগদ রয়েছে ২৫ লাখ ২২ হাজার ১৪৭ টাকা। বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ ২৬ হাজার ৪৮৮ ডলার। ব্যাংকে জমার পরিমাণ ৬৪ লাখ ৩৭ হাজার ৭০৮ টাকা ও স্ত্রীর নামে ব্যাংকে রয়েছে ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৮ টাকা। বন্ড, ঋণপত্র স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার অর্জনকালীন মূল্য সাত কোটি চার লাখ ৪৪ হাজার টাকা এবং স্ত্রীর নামে শেয়ার রয়েছে দুই কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার টাকা। আমিনুলের দুটি গাড়ির মধ্যে একটির মূল্য ২৬ লাখ ও আরেকটির মূল্য ৩৭ লাখ টাকা। একটি জিপ ৩৮ লাখ টাকার, এ ছাড়া বাস রয়েছে ৭২ লাখ ৪২ হাজার টাকার। তার স্ত্রীর নামে রয়েছে একটি গাড়ি ১২ লাখ ও  পিকআপ ১১ লাখ ৯৫ হাজার টাকার। আমিনুলের স্বর্ণ ও মূল্যবান ধাতু রয়েছে ৩০ হাজার টাকার। পিস্তল, রাইফেল, এসি, ইলেকট্রনিকস সামগ্রী ছয় লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে আসবাবপত্র এক লাখ টাকার।

হলফনামায় আমিনুল হকের স্থাবর সম্পদে উল্লেখ করা হয়েছে, তার কৃষি জমি রয়েছে ২৯২ দশমিক ৩৩ শতাংশ ও ৭৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। অকৃষি জমি রয়েছে ২৬৫ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ, যেটি কেনার সময়ের দাম অনুযায়ী এর মূল্য ১৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। পাঁচটি অ্যাপার্টমেন্ট রেজিস্ট্রেশনসহ মূল্য তিন কোটি ৭০ লাখ চার হাজার ৭০০ টাকা। চা বাগান, রাবার বাগান ইত্যাদি রয়েছে দুটি, যার আর্থিক পরিমাণ উল্লেখ করা নেই। ব্যাংক ঋণ এককভাবে পদ্মা ব্যাংক থেকে নিয়েছেন ২৬ কোটি ৮৭ লাখ ৫৬ হাজার ৭০৩ টাকা।