আ.লীগের হানিফের ব্যাংক ঋণ শতকোটির ওপরে
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি একই আসন থেকে লড়ছেন। ক্ষমতাসীন দলের এই সংসদ সদস্যের গত ১০ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে। যদিও সম্পদের বিপরীতে রয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ। হানিফ তার হলফনামায় বিভিন্ন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ দেখিয়েছেন ১০২ কোটি ৮৪ লাখ ৬১ হাজার ৭০০ টাকা। আর সিকিউরিটি ডিপোজির্ট ফার্ম থেকে তার লোন দেড় লাখ টাকা।
২০২৩ সালের হলফনামার তথ্যমতে, এমকম পাস করা হানিফ নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে বার্ষিক আয় ৯ লাখ টাকা। ব্যবসা থেকে আয় করেন তিন কোটি ৪৮ লাখ ৪৩ হাজার ৩৬ টাকা।
এই প্রার্থীর সংসদ সদস্য হিসেবে প্রাপ্ত ভাতা থেকে আয় ছয় লাখ ৬০ হাজার টাকা। ব্যাংকের লভ্যাংশ থেকে আয় ৯৭৪ টাকা। আর নগদ রয়েছে দুই কোটি ১৬ হাজার ৪৫২ টাকা।
বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার চার কোটি ৮১ লাখ ছয় হাজার ৪০০ টাকা। তিনটি গাড়ির মূল্য এক কোটি ৭৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা। ৩০ তোলা স্বর্ণের মূল্য আট লাখ টাকা।
ইলেকট্রনিক সামগ্রীর বিবরণীতে দেখানো হয়েছে ৯ লাখ ১৫ হাজার ৬০০ টাকা এবং আসবাবপত্রে দুই লাখ টাকা। তার দুই লাখ ৪৮ হাজার ৭৯ টাকার আগ্নেয়াস্ত্র আছে।
২০১৮ সালে তার বাড়ি ও অন্যান্য ভাড়া থেকে আয় সাত লাখ ৭৬ হাজার ১৬০ টাকা, ব্যবসায়িক আয় দুই কোটি ১০ লাখ ৩৩ হাজার ২৯১ টাকা, সংসদ সদস্য ভাতা হিসেবে আয় ছয় লাখ ৬০ হাজার টাকা। অন্যান্য আয় আট হাজার ৪৪৯ টাকা। এ সময়ে তার কাছে নগদ টাকা ছিল ৭২ লাখ ৭১ হাজার ১৩৯। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল দুই লাখ ৪৮ হাজার ৬৩ টাকা। বন্ড, ঋণপত্র ও স্টক এক্সচেঞ্জে ছিল চার কোটি ৮১ লাখ ছয় হাজার ৪০০ টাকা। গাড়ি ছিল তিনটি, যার মূল্য এক কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্বর্ণ এবারের মতোই ছিল ৩০ তোলা।