‘সাংবাদিকদের উদ্দেশে’ যা বললেন মাহিয়া মাহি

Looks like you've blocked notifications!
মাহিয়া মাহির ফাইল ছবি

সম্প্রতি রাজনীতির মাঠে বেশ সরব হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা শারমিন আকতার নিপা ওরফে মাহিয়া মাহি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন চান এই অভিনেত্রী। তবে, দলের চূড়ান্ত তালিকায় জায়গা হয়নি তার। তাই রাজশাহী-১ আসন থেকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ে নেমেছেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) মাহি তার ফেসবুক আইডিতে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেন। আর তাতেই বির্তকের মুখে পড়েন তিনি। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিতে এক ভিডিও বার্তায় ‘সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে’ কথা বলেন।

গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১২টা ৪৮ মিনিটে নিজের ফেসবুক আইডিতে সাংবাদিকদের উদ্দেশে ওই ভিডিও বার্তায় ঢাকাই সিনেমার এ নায়িকা বলেন, ‘কয়েকটি গণমাধ্যম সংবাদ করেছেন যে, আমি আচরণবিধি লঙ্ঘণ করে মাঠে ভোট চেয়েছি। বিষয়টা আসলে একদমই তেমন নয়। কেউ আমাকে ফোন করে জিজ্ঞাসাও করেননি যে আমি মাঠে কেন গিয়েছিলাম, ভোট চেয়েছিলাম কি না।’

ভিডিও বার্তায় এই স্বতন্ত্রপ্রার্থী আরও বলেন, ‘আমি আমার ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্ট করেছি। আমি পোস্টে এলকার নাম এবং তারিখ লিখেছি। আর কিছুই লিখিনি।’ তিনি বলেন, ‘আমি রাজশাহী-১ আসনের গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে সেখানকার মানুষের সঙ্গে দেখা করার জন্য গিয়েছিলাম। এটা একদম বিচ্ছিন্ন একটি এলাকা, নৌকা দিয়ে যেতে হয়। সে এলাকাতে এখনও রাস্তা নেই। সে এলাকার মানুষ আমাকে কখনও দেখেনি। আমি যে নির্বাচন করব, আমাকে যদি তারা সামনাসামনি না দেখে তাহলে কীভাবে হবে। সো, আমি আমার এলাকার মানুষের কাছে দোয়া চাইতে যেতেই পারি। এটি আচরণবিধি লঙ্ঘন না। আর আমি একজনকেও বলিনি আমাকে ভোট দেবেন। আর আমার তো এখনও কোনো মার্কাই নেই, আমি কোন মার্কায় ভোট চাইব?’

মাহি বলেন, ‘আমি সবাইকে বলেছি, আমি আপনাদের এলাকার মেয়ে, আমি আপনাদের কাছ দোয়া চাইতে এসেছি। আমার জন্য দোয়া করবেন। এ সময় আমি ওই এলাকার সমস্যাগুলো শুনেছি। কারণ, সামনে আমাকে ইশতেহার ঘোষণা করতে হবে। তো আমি যদি না-ই জানি যে ওই এলাকার কী কী সমস্যা, তাহলে কীভাবে ইশতেহারে লিখব। তাই আমি এগুলো জানার জন্যই সেখানে গিয়েছি।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল-গোমস্তাপুর-ভোলাহাট) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে নানাবাড়ির আসনে (রাজশাহী-১) স্বতন্ত্রপ্রার্থী হন মাহি। প্রাথমিক বাছাইয়ে মনোনয়ন বাতিল হলেও আপিলে ফিরে পান বৈধতা।