মারধরের অভিযোগ স্বতন্ত্রপ্রার্থীর, ‘মনগড়া’ বললেন নৌকার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য

Looks like you've blocked notifications!
বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী সালাউদ্দিন রিপন আজ শুক্রবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন। ছবি : এনটিভি

বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী সালাউদ্দিন রিপনের কর্মীসমর্থকদের মারধর ও নির্বাচনি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর লোকজনের বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে প্রার্থী নিজে সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দেবেন বলেও জানান এই প্রার্থী। যদিও এই অভিযোগ ‘মনগড়া’ বলে দাবি করেছেন নৌকার প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য যুবলীগনেতা মাহমুদুল হক খান মামুন।

জাতীয় সংসদের ১২৩তম আসন বরিশাল-৫। এই আসনে ট্রাক প্রতীকে লড়ছেন সালাউদ্দিন রিপন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, নৌকার কর্মী-সমর্থকরা বিভিন্ন জায়গায় তার পোস্টার খুলে ফেলছে। রূপাতলী এলাকায় পোস্টার ছেঁড়ার পাশাপাশি তার নেতাকর্মীদের গণসংযোগে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ রায়পাশায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনি কাজ চলাকালে কর্মীসমর্থকদের হুমকি দিয়েছে। গতকাল শায়েস্তাবাদের লোহারপুল এলাকায় অনুমতি নিয়ে মিটিং করতে গেলে নৌকার কর্মীরা পিকনিক পার্টি করে। পরে প্রশাসনের সহায়তায় পার্শ্ববর্তী মাঠে মিটিং করেন তিনি। টেক্সটাইল মোড়ে অনুষ্ঠিত মিটিংয়ে আসার সময় ভাটিখানায় তারা নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়েছে।

সালাউদ্দিন রিপন বলেন, আজ চরকাউয়ার কর্ণকাঠীতে প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে মিটিং ছিল। কিন্তু, স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবর রহমান লিটু এবং আবুল নামের একজনের নেতৃত্বে কিছু লোক তাতে বাধা দিয়েছে। তারা বলেছেন, এখানে নৌকা মার্কার কর্মী সভা হবে। অন্য কোনো সভা হতে পারবে না। পরে প্রশাসনের সহায়তায় মঞ্চ ছাড়াই মিটিং করেছি।

এই স্বতন্ত্রপ্রার্থীর মিটিংয়ে অংশ নিলে সরকারি ভাতাসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতার তালিকা থেকে নাম কেটে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে সালাউদ্দিন রিপন বলেন, ঝরঝরিয়াতলা এলাকায় একজন শ্রমজীবীকে নৌকার সমর্থকেরা মারধর করেছ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তে কর্নকাঠি গিয়েছিলেন। আমি এসব ঘটনার প্রতিকার চাই। আমার কোনো কর্মীর ওপর যদি হামলা করা হয় সেই দায়িত্ব প্রশাসনকে নিতে হবে। আমি এই বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তুলে ধরব। অভিযোগ দেব।

অভিযোগের বিষয়ে বরিশাল-৫ আসনের নৌকা প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য যুবলীগনেতা মাহমুদুল হক খান মামুন বলেন, ‘এসব অভিযোগ মনগড়া। আমরা নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি। কাউকে বাধা দেওয়ার মতো সময় এখন নেই।’

বরিশাল জেলা রিটার্নিং কমকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এই বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।’