নৌকা ও ট্রাক সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, মোটরসাইকেল ভাঙচুর

Looks like you've blocked notifications!
শেরপুর জেলা সদরের কুসুমহাটি বাজারে নৌকা ও ট্রাক সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। ছবি : এনটিভি

শেরপুর জেলা সদরের কুসুমহাটি বাজারে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আতিউর রহমান আতিক ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের ছানুয়ার হোসেন ছানুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বেল জানা গেছে। যার জের চলে রাত দেড়টা পর্যন্ত।

দুইপক্ষের লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে জানা যায়, কুসুমহাটিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের একটি নির্বাচনি কার্যালয় উদ্বোধন নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। কার্যালয় উদ্বোধন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি সভা চলছিল। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের ছানুয়ার হোসেন ছানুর একটি মিছিল ওই এলাকা অতিক্রম করছিল। উভয়পক্ষের উত্তেজনাকর স্লোগানকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সংঘর্ষে কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরসহ নৌকা প্রতীক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রলীগ নেতা হাসান, ছাত্রলীগ নেতা পার্থসহ কয়েকজন আহত হয়। সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রসহ, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারেরও অভিযোগ ওঠে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে রাত ১টার দিকে ছানুয়ার হোসেন ছানুর সমর্থকরা প্রতিবাদ মিছিল করেন। পরে খরমপুরে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ছানুয়ার হোসেন ছানু বক্তব্য দেন।

ছানুয়ার হোসেন ছানু তার বক্তব্যে অভিযোগ করেন, নৌকার প্রার্থী আতিউর রহমান আতিক বেশ কয়েকজন প্রিজাইডিং অফিসারকে টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে নাটক করার জন্য নৌকার সমর্থকরা সন্ত্রাসের সৃষ্টি করেছে, তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর দোষ চাপাবে।

এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন রানা জানান, কুসুমহাটি বাজারে নৌকা প্রতীকের একটি কার্যালয় উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে মূলত সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় উভয়পক্ষ মুখোমুখি হলে নৌকা প্রতীকযুক্ত তোরণ ভাঙচুরসহ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

সোহেল রানা এ ঘটনার জন্য দায়ী করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী ছানুয়ার হোসেন ছানুর সমর্থকদের। বর্তমানে ঘটনাস্থলসহ শহরে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।