মোংলা বন্দর পেয়েছেন, মোংলা সেতুও পাচ্ছেন : উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার 

Looks like you've blocked notifications!
মোংলার হেলিপ্যাড মাঠে নির্বাচনি জনসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন নৌকার প্রার্থী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। ছবি : এনটিভি

‘আমাদের জন্য এই সরকারের শ্রেষ্ঠদান মোংলা বন্দর। বিগত জোট সরকারের আমলের মৃতপ্রায় মোংলা বন্দরকে সচল ও আধনিকায়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার নির্বাচিত হলে আপনাদের দাবি মোংলা নদীর উপর সেতু বাস্তবায়ন করব।’

আজ মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে মোংলায় নৌকা প্রতীকের নির্বাচনি জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাগেরহাট-৩ আসনের (মোংলা-রামপাল) নৌকার প্রার্থী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। 

উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, ‘পশুর ও বঙ্গবন্ধু ক্যানেল খনন, মোংলা-খুলনা রেললাইন, ইপিজেড, অর্থনৈতিক অঞ্চল, দুই ডজনের অধিক ভারী শিল্প কলকারখানা, পশুর নদীতে ফেরি, রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করে মোংলা-রামপালকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ এবং উন্নয়নে সাজিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই আপনাদের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীকে আবারও ভোট চাই, আপনারা উন্নয়নের পক্ষে থাকবেন এবং আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট দিয়ে নৌকাকে বিজয়ী করবেন।’ 

উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যেই সরকার একটি চায়না প্রতিষ্ঠান দিয়ে মোংলা নদীর সয়েল টেস্ট সম্পন্ন করেছে। এখন এই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হওয়া বাকিমাত্র। আমি যদি এই মুহূর্তে মরেও যাই তারপরও এ সেতু আপনারা পাচ্ছেন, পাবেন।’ 

আজ বিকেল ৪টায় মোংলার হেলিপ্যাড মাঠে অনুষ্ঠিত এ জনসভায় উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে আজাদ টিপু, আ. রউফ, অর্থ সম্পাদক আব্দুল বাকী তালুকদার, মোংলা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ. রহমান, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান শেখ আব্দুস সালাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান জসিম প্রমুখ। 

নৌকা প্রতীকের নির্বাচনি এ জনসভায় যোগ দিতে দুপুরের পর থেকে পৌরসভা ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডের নেতাকর্মী-সমর্থকরা মিছিল নিয়ে আসে। হাজার হাজার নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে হেলিপ্যাড মাঠ পেরিয়ে জনসভা ছাপিয়ে যায় শেখ আ. হাই সড়কেও।