যেসব আসনে জয় পেল জাতীয় পার্টি

Looks like you've blocked notifications!
জাতীয় পার্টির লোগো

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এরপর নির্ধারিত বিরতি শেষে শুরু হয় ভোট গণনা। গণনা শেষে প্রাপ্ত ফলাফলে বিএনপিহীন নির্বাচনে এবার নৌকার বিপক্ষে দাপট দেখিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তবে কিছু আসনে জয় পেয়েছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীরা। এসব আসনে নৌকা, স্বতন্ত্রসহ অন্য প্রার্থীদেরকে হারিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন তারা। আসনগুলো হলো–

ঠাকুরগাঁও-৩ (রাণীশকৈল উপজেলা (ধর্মগড় ও কাশিপুর ইউনিয়ন ব্যতীত) এবং পীরগঞ্জ উপজেলা) হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বিজয়ী হয়েছেন।

রংপুর-৩ (রংপুর সদর উপজেলা এবং রংপুর সিটি করপোরেশনের ৯ থেকে ৩৩ নং ওয়ার্ডগুলো) গোলাম মোহাম্মদ কাদের বিজয়ী হয়েছেন।

কুড়িগ্রাম-১ (ভুরুঙ্গামারী উপজেলা ও নাগেশ্বরী উপজেলা) এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন।

সাতক্ষীরা-২ (সাতক্ষীরা সদর উপজেলা) মো. আশরাফুজ্জামান বিজয়ী হয়েছেন।

পটুয়াখালী-১ (সদর উপজেলা, মির্জাগঞ্জ উপজেলা, দুমকি উপজেলা) এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বিজয়ী হয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ উপজেলা এবং তাড়াইল উপজেলা) মুজিবুল হক চুন্নু বিজয়ী হয়েছেন।

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারি উপজেলা) আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিজয়ী হয়েছেন।

বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ উপজেলা) শরিফুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন।

বরিশাল-৩ (মুলাদী উপজেলা, বাবুগঞ্জ উপজেলা) গোলাম কিবরিয়া বিজয়ী হয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন এ কে এম সেলিম ওসমান। তিনি ১ লাখ ১৫ হাজার ৪২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ার প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ এম এম একরামুল হক তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৩৩ ভোট।

ফেনী-৩ আসনে দ্বিতীয়বারের মতো লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী। তিনি ১ লাখ ৪৭ হাজার ৭৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা রহিম উল্লাহ। তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ৬২৬ ভোট।

এবারের মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ছয় কোটি ৭৬ লাখ ৯ হাজার ৭৪১ এবং নারী ভোটার পাঁচ কোটি ৮৯ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৯ জন। এ ছাড়া সারা দেশে এবার তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮৪৯ জন। সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য স্থাপনায় মোট ৪২ হাজার ২৪টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এবার ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।