ঝিনাইদহ-১ আসনে ফল পাল্টানোর অভিযোগ স্বতন্ত্রপ্রার্থীর

Looks like you've blocked notifications!

ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে ভোটের হিসেবে গড়মিল ধরা পড়েছে। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৬ হাজার ৩৩৬ জন। ভোটগ্রহণ শেষে (বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট) জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে ৪৯% ভোট কাস্টিং হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

কিন্তু চূড়ান্ত ফল ঘোষণার সময় কাস্টিং ভোট দেখানো হয় ৫৮.২৭% (আটান্ন দশমিক সাতাশ)। পার্সেন্টেজ বাড়ানোর ফলে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭৮ ভোট কাস্টিং দেখানো হয়েছে। প্রথম প্রতিবেদনের চেয়ে ২৮ হাজার ৩৮৯ ভোট নৌকা প্রতীকে কাস্টিং বেশি দেখানো হয়েছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে তোলপাড় শুরু হয়।

ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা উপজেলা) আসনে পরাজিত ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী নজরুল ইসলাম রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলামকে দায়ী করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে ফলাফল পাল্টে দিয়েছেন। ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে চূড়ান্ত ফল ঘোষণার সময় ৯.২৭ % (নয় দশমিক সাতাশ) বেশি ভোট কাস্টিং দেখানো হয়েছে। বিজয়ী ঘোষিত প্রার্থীর শপথ গ্রহণ বন্ধের জন্য আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে তদন্ত দাবি করছি।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৭ জানুয়ারি রাতে প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. আব্দুল হাই ৯৪ হাজার ৩৭৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৮০ হাজার ৫৪৭ ভোট। ১৩ হাজার ৮৩২ ভোট বেশি পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাই।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম মঙ্গলবার রাতে এনটিভি অনলাইনকে অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ভোটের দিন (৭ জানুয়ারি) ৪টা ৩০ মিনিটে পাঠানো প্রতিবেদনটি খসড়া ছিল। নির্বাচন অফিসার যেভাবে দিয়েছেন আমি সেভাবেই পাঠিয়েছি। সারা দেশ থেকে নির্বাচন কমিশনে এভাবেই প্রতিবেদন পাঠানো হয়। পরবর্তী পর্যায়ে বেসরকারি ফলাফল প্রকাশের সময় চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।

তবে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রোকুনুজ্জামান দায় অস্বীকার করে বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত সকল দায়দায়িত্ব রিটার্নিং কর্মকর্তার।

প্রাপ্ত তথ্যমতে এই আসনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে পড়েছে ৩৯৪, তৃণমূল বিএনপি ১৬১ ভোট, ফুলকপি (স্বতন্ত্র) ১৫৯ এবং এনপিপির আম মার্কায় পড়েছে ২৩৮ ভোট। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৬ হাজার ৩৩৬ জন।