পাঁচ কারণে আমাদের মস্তিষ্ক অসাধারণ!

Looks like you've blocked notifications!

বস্তুটিকে বোঝাতে বাংলায় বলা হয় মস্তিষ্ক, মগজ, ঘিলু। আর ইংরেজিতে বলা হয় ব্রেন, গ্রে ম্যাটার ইত্যাদি। তবে যে নামেই একে ডাকা হোক না কেন মানুষের দেহে সবচেয়ে জরুরি এবং অধিক কার্যকারী অঙ্গ হচ্ছে মস্তিষ্ক। তবে পাঁচটি কারণে আমাদের মস্তিষ্ক এককথায় অসাধারণ। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক কিডস জানিয়েছে সেই পাঁচ কারণের কথা।

১. মানব মস্তিষ্ক তড়িৎ পরিবহন করে

হাঁটাচলাসহ শরীরে বিভিন্ন ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে আপনার মস্তিষ্কের কোষ বা নিউরন, রাসায়নিক এবং বৈদ্যুতিক সংকেত প্রেরণ করে। যখন আপনার চারপাশ থেকে তথ্য আহরণ ও সেটা বিশ্লেষণ হয় মস্তিষ্কে, তখনই এই সংকেতগুলো তৈরি হয়।

২. এই অঙ্গটি তথ্যের জন্য মহাসড়কের মতো

আগেই আমরা জেনেছি মস্তিস্কে রাসায়নিক ও বৈদ্যুতিক সংকেত তৈরি হয়। আর এই সংকেতগুলো একটি কোষ থেকে অপর কোষে ‘হট পটেটো’ গেমের মতোই স্থানান্তরিত হয়। আপনি জেনে হয়তো অবাক হবেন এই সংকেতগুচ্ছ ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার বেগের মতো অকল্পনীয় গতিতে এক কোষ থেকে অন্য কোষে স্থানান্তরিত হয়।

৩. মস্তিষ্কে গাদাগাদি অনেক কিছু

আপনার মস্তিষ্কের ওজন যদি হিসেব করা হয়, তা হলে খুব বেশি হলে তিন পাউন্ড হবে। কিন্তু তিন পাউন্ডের এই অঙ্গে প্রায় ৪০০ মাইলের মতো দীর্ঘ রক্তের শিরা-উপশিরা, ১০০ বিলিয়নের মতো কোষ, এবং প্রায় এক ট্রিলিয়নের মতো গিলাল কোষ (এক বিশেষ ধরনের কোষ যা মস্তিষ্ককে রক্ষা করে এবং তা অন্য কোষকেও সাহায্য করে) রয়েছে।

৪. মস্তিষ্ক সর্বদা চিন্তাশীল

আমাদের মগজ সপ্তাহে সাতদিন, চব্বিশ ঘণ্টাই সচল থাকে। আর আপনি জেগে থাকুন বা ঘুমিয়ে, আপনার এই অঙ্গটি কিন্তু সারাক্ষণই কাজ করে যাচ্ছে, কাজ মানে চিন্তাভাবনা করা। সঠিকভাবে সংখ্যাটা না জানা গেলেও গবেষকদের ধারণা প্রতিদিন একটি মস্তিষ্ক প্রায় ৭০ হাজার চিন্তা করে।

৫. প্রয়োজনে মস্তিষ্ক বৃদ্ধি পায়

কিছু কার্যক্রম যেমন কোনো নতুন ভাষা শেখা, ব্যায়াম এবং বিভিন্ন বুদ্ধিভিত্তিক কৌশল আপনার মস্তিষ্ক নামক গ্রে-ম্যাটার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। আর আপনার এই বৃদ্ধি পাওয়া কোষগুলোই আপনি যে নতুন জিনিস শিখছেন তা প্রক্রিয়াকরণ করতে সহায়য়তা করবে। গবেষকরা মনে করেন আপনার মস্তিষ্ক যত বেশি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত কোষ থাকবে তত দ্রুত আপনি কাজ করতে পারবেন।