রম্য
বাংলাদেশের ফেসবুকারদের কাছে জাকারবার্গ ঋণী!
আজ থেকে নতুন বছর শুরু হয়ে গেছে। আর তাই হাস্যরসের পাঠকের জন্য এক্সক্লুসিভ ধামাকা হিসেবে জীবন্ত কিংবদন্তি ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের সম্পূর্ণ কাল্পনিক সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হলো। আসুন সময় নষ্ট করে পড়ে ফেলি।
হাস্যরস : কেমন আছেন জুকার মামা?
জাকারবার্গ : জুকার না, জাকার, জাকার। আর আমি কি আপনার মামা?
হাস্যরস : ইয়ে মানে আপনি আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড। তার মানে আপনি ফ্রেন্ড। আর আমাদের দেশে ফ্রেন্ডদের আদর করে মামা ডাকা হয়।
জাকারবার্গ : এটা কেমন আদুরে নাম?
হাস্যরস : এই আদুরে নাম মন্দের ভালো। তবে ফ্রেন্ডশিপ যখন খুব বেশি ক্লোজ হয়ে যায়, তখন পাগল, গরু, ছাগলসহ বিভিন্ন প্রাণীর নামে সম্বোধন করা হয় বন্ধুকে। যেহেতু আপনার সঙ্গে আমার খুব ক্লোজ বন্ধুত্ব নয়, সেহেতু আপাতত আপনাকে মামা বলে সম্বোধন করব। তবে ভবিষ্যতে যদি আপনার সঙ্গে ক্লোজ বন্ধুত্ব হয়, সে ক্ষেত্রে আপনাকেও বিভিন্ন প্রাণীর নামে সম্বোধন করব। অবশ্য এটা আমাদের দেশের ফ্রেন্ড সার্কেলের অলিখিত নিয়ম।
জাকারবার্গ : আপনাদের দেশের ফ্রেন্ড সার্কেলের অলিখিত নিয়ম আর কী আছে?
হাস্যরস : এই যেমন বন্ধুদের মধ্যে যারা ফেসবুকে মেয়েদের স্ট্যাটাসে বেশি কমেন্ট করে, তাদের আমরা লুল বলি। পাশাপাশি ফেসবুকে যাদের স্ট্যাটাসে বেশি লাইক পড়ে, তাদের আমরা সেলিব্রিটি ডাকি। তবে অনেকে অটোলাইক ইউজ করে লাইক বাড়ায়, তাদের নিয়ে আমরা মজা নেই। আচ্ছা, আপনি কি অটোলাইক ইউজ করেন?
জাকারবার্গ : নাহ মামা, আমি অটোলাইক ইউজ করি না।
হাস্যরস : কিন্তু আপনার লাইক লিস্ট দেখলেই বোঝা যায় আপনি অটোলাইক ইউজার। কারণ এতে বিদেশি ফেসবুক ইউজারের বেশি লাইক থাকে। আর যাদের স্ট্যাটাস কিংবা ছবিতে বিদেশি ইউজারের লাইক বেশি থাকে, তাদের আমরা অটোলাইক ইউজার বলি।
জাকারবার্গ : আমি ওই রকম লোক না। সব ষড়যন্ত্র। কেউ আমাকে ফাঁসাতে চাচ্ছে মামা।
হাস্যরস : অন্য প্রসঙ্গে আসি। ফেসবুকের নাম উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গেই আপনার নাম উচ্চারণ হয়। স্বাভাবিকভাবেই ফেসবুককে নিয়ে আপনি গর্বিত। তো প্রশ্ন হচ্ছে, ফেসবুক কি আপনার বাবার সম্পত্তি?
জাকারবার্গ : না মামা। ফেসবুক আমার বাবার নয়, আমার মেয়ের বাবার সম্পত্তি।
হাস্যরস : নতুন বছর উপলক্ষে বাংলাদেশের ফেসবুক ইউজারদের উদ্দেশে করে কিছু বলুন।
জাকারবার্গ : বাংলাদেশের ফেসবুকারদের কাছে আমি ঋণী!
হাস্যরস : ক্যামনে কী?
জাকারবার্গ : ব্যাখ্যা দিয়েই বলি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ফেসবুকে তরুণদের আগ্রহী করতে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিই। তার জন্য অনেক টাকা ব্যয় করতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশে সেটা করতে হয় না। কারণ, আমাদের হয়ে সেই কাজটা বাংলাদেশের ফেসবুক ইউজার করে ফেলে। প্রতিদিন তারা একটা ইস্যু ক্রিয়েট করে, আবার সেই ইস্যু নিয়ে সবাই দুই দলে ভাগ হয়ে ফেসবুকে সেটা নিয়ে ত্যানা পেঁচায়। যার ফলে আমাদের কোম্পানির প্রচারটা ফ্রি হয়ে যায়।
হাস্যরস : বছরের প্রথম দিনই হাস্যরসে কাল্পনিক সাক্ষাৎকারের সুযোগ পেয়ে গেলেন। অনুভূতি কী।
জাকারবার্গ : গত বছর চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করছিলাম হাস্যরসে সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য, কিন্তু কখনো ভাবিনি সুযোগ পাব। নতুন বছরে এটা আমার জন্য অনেক বড সারপ্রাইজ বলা যায়।
হাস্যরস : জুকার মামা, চাপাটা একটু বেশি হয়ে গেল না!
জাকারবার্গ : মামা, কাল্পনিক সাক্ষাৎকার হওয়া সত্ত্বেও আমার কাছে এমনভাবে অনুভূতি জানতে চাইলে, তাই নিরাশ করলাম না।
হাস্যরস : ফেসবুক লাইভ ভিডিও বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয়। ব্যাপারটা কীভাবে দেখছেন?
জাকারবার্গ : ফেসবুক লাইভ ভিডিও অপশন যে হারে বাংলাদেশিরা ইউজ করে, তাতে মনে হয় ফেসবুক লাইভ ভিডিও অপশন আকাশের চাঁদ। সবাই প্রতিদিন চাঁদে যায়।
হাস্যরস : নতুন বছর উপলক্ষে বাংলাদেশি ফেসবুক ইউজারদের কিছু বলুন।
জাকারবার্গ : আপনাদের চিকন পিনের চার্জারের সমস্যার সমাধান কি হইছে?