রম্য
লক্কড় ঝক্কড় বাসে চলার কিছু সুবিধা!
ঢাকায় কিছু বাস চলে, যেগুলো ঠিক ফিট নয়। লক্কর ঝক্কর মার্কা সেসব বাসে চড়ার কিন্তু কিছু সুবিধা বা উপকারিতাও রয়েছে। চলুন সেগুলো জেনে নিই।
১. অনেকের শরীরের জয়েন্টে নানা ধরনের ব্যথা থাকে। লক্কড় ঝক্কড় বাসে উঠলে ঝাঁকুনিতে তাদের সেই ব্যথা দূর হয়ে যাবে! ব্যথা দূর হলে ডাক্তারের কাছে আর যাওয়া লাগবে না।
২. লক্কড় ঝক্কড় বাস দুলতে দুলতে চলে, থাকে তীব্র ঝাঁকুনি। এতে করে উঁচুনিচু পাহাড়ে রাইডিংয়ের আমেজ অনুভব করতে পারেন যাত্রীরা! বিনা পয়সায় অভিজ্ঞতা লাভ হলো।
৩. লক্কড় ঝক্কড় বাস সড়কে চলাচল করে বলেই ‘ফিটফাট’ বাসগুলো নিজেদের ‘বড়ত্ব’ প্রকাশ করতে পারে!
৪. লক্কড় ঝক্কড় বাস না থাকলে চুলকানির মলম বিক্রেতা কিংবা ‘এই বই পড়লে জানতে পারবেন, কীভাবে আগামী এক মাসে দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে’ ধরনের হকারদের কী বিপদই না হতো! ফিটফাট বাসে যে তাদের উঠতে দেয় না!
৫. রাজনীতির ‘অন্দরমহলের’ খবর কিংবা ‘দেশ আসলে কোন দিকে যাচ্ছে’- এসব জানতে হলে নিয়মিত লক্কড় ঝক্কড় বাসে চড়তে হবে! কতিপয় যাত্রী এসব বাসে উঠেই রাজনীতি আর দেশ নিয়ে ক্যাঁচাল শুরু করে দেন!
৬. লক্কড় ঝক্কড় বাসে নিয়মিত চলাচল মানেই ধৈর্য্যশক্তি বেড়ে যাওয়া! এসব বাসে ওঠার পর যাত্রীদের হাউকাউ, অপ্রয়োজনীয় খাজুরে আলাপ শুনে যাওয়াটা বড়ই ধৈর্যের পরিচায়ক!
৭. লক্কড় ঝক্কড় বাসে কন্ডাক্টরকে ধমক দিয়ে ‘এইটা কোন বাস হলো নাকি! কই থাইক্যা এই মুড়ির টিন নিয়া আসছে’ এসব বলে ভাড়া দু-তিন টাকা কম দেওয়া যায়। গাড়ির যে অবস্থা থাকে, তাতে বেচারা কন্ডাক্টরও কিছু বলতে পারে না! এই ‘সুবিধা’ কিন্তু ফিটফাট বাসে পাবেন না!
৮. রম্য লিখতে গেলে মাঝেমধ্যে বিষয় নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। তখন সড়কের লক্কড় ঝক্কড় বাসের ওপর নাতিদীর্ঘ রম্য লিখে ফেলা যায়!