রম্য
ট্যাগ করলেই কারণ দর্শাও নোটিশ
নতুন দাবি উঠেছে ফেসবুক শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে। যদিও এমন সমিতির কোনো অস্তিত্ব নেই, তারপরও হাস্যরস এই নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে। প্রিয় পাঠক, সত্যি সত্যি ফেসবুক শিল্পী সমিতির নির্বাচন হলে তার রূপরেখা কেমন হবে, আসুন দেখে নিই।
১. স্লোগান হবে, ‘মেক ফেসবুক গ্রেট অ্যাগেইন’।
২. শিল্পী সমিতির সর্বোচ্চ পদের নাম অ্যাডমিন। এই পদে প্রার্থী হতে হলে যোগ্যতা হিসেবে বেশ কয়েকটি পেজের অ্যাডমিন হতে হবে। পাশাপাশি অতীতে ফেসবুক বন্ধু কাউকে ট্যাগ দিয়ে থাকলে নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। তবে মার্ক জাকারবার্গের আত্মীয় হলে ভেবে দেখা যাবে।
৩. ফেসবুক শিল্পী সমিতির নির্বাচনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদের নাম মডারেট। এই পদের প্রার্থী হতে হলে অ্যাকটিভ লাইকার হতে হবে, যাতে সুখে-দুঃখে সবার স্ট্যাটাসে লাইক দিতে পারেন। তবে যাঁরা কারণে-অকারণে হা হা হা রি-অ্যাকশন দেন, তাঁদের নির্বাচনে প্রার্থী হতে সুযোগ দেওয়া দূরের কথা, ভোট দিতে দেওয়া হবে না।
ফেসবুক শিল্পী সমিতির কাজ
১. যৌথ প্রযোজনার ফেসবুক আইডি, অর্থাৎ স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলে একটি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করলে সেটা ফেসবুক শিল্পী সমিতিকে জানাতে হবে, যাতে সবাই সাবধানে পা বাড়ায়।
২. যে বা যাঁরা কারণে-অকারণে হা হা হা প্রতিক্রিয়া দেন, তাঁদের সবাই মিলে ব্লক দেবে।
৩. ট্যাগ করলেই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে, যারা উপযুক্ত জবাব দিতে পারবে না, তাদের ফেসবুক শিল্পী সমিতির সদস্যপদ বাতিল করা হবে। তার ফ্রেন্ডলিস্টে কেউ থাকতে পারবে না।
৪. যারা না বুঝে ফেসবুকে বিভিন্ন লেখার কমেন্টে গালিগালাজ করে, তাদের পাগলা মলম লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হবে অনির্দিষ্টকালের জন্য।
৫. সব ফেসবুকারকে একটি করে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। এবং ফেসবুক ব্যবহার করার সময় অবশ্যই সেটা গলায় ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
৬. নিরাপত্তার জন্য সবার ফেসবুক আইডিতে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে, যাতে কেউ একাধিক প্রেম কিংবা পরকীয়া করতে না পারে।