রম্য
যে কারণে আনুশকাকে চুপিচুপি বিয়ে করছেন বিরাট
আনুশকা শর্মা আর বিরাট কোহলির বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত পুরো মিডিয়া, ঠিক তখনই হাস্যরস বিরাট কোহলির সাক্ষাৎকার নেওয়ার চেষ্টা করে। শেষমেশ ফোন, ভাইবার কিংবা হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করতে না পেরে মেসেঞ্জারের শরণাপন্ন হতে হয়। মেসেঞ্জার চ্যাটিংয়ের কিছু অংশ তুলে ধরা হলো।
হাস্যরস : বিয়ের ব্যাপারে আপনার অনুভূতি কেমন?
কোহলি : একটু নার্ভাস। তবে প্রথমবার তো, পরেরবার ঠিক হয়ে যাবে।
হাস্যরস : আপনি বেশ ফানি। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে আপনার এত্ত বড় জিহ্বা দেখেই আন্দাজ করেছি। যাই হোক, শুনলাম বিয়ে উপলক্ষে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে টেস্ট সিরিজ খেলবেন না। এতে আপনার পারফরম্যান্সে কোনো সমস্যা হবে না?
কোহলি : দেখুন, এত দিন তো খেলার মাঠে পারফরম্যান্স নিয়ে অনেক ভেবেছি। এবার অন্যদিকের পারফরম্যান্স নিয়ে একটু ভাবা দরকার। তা ছাড়া এই পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে বিশ্রামটা ভালো কাজে লাগে।
হাস্যরস : জনমনে একটাই প্রশ্ন, এই চুপিচুপি বিয়ের কারণ কী?
কোহলি : বর্তমানে সেলিব্রেটিদের যে হারে ডিভোর্স হয়ে যাচ্ছে, সে অনুযায়ী পরবর্তী বিয়ের জন্যও তো টাকা জমিয়ে রাখা দরকার। তবে আপনি নিউজে লিখবেন, বিয়ের পর আমি মিতব্যয়ী হতে চাই বলেই বিয়েতে যাদের না হলেই নয়, তাদেরই ডেকেছি। এই টিমে রয়েছে আনুশকা, ওর বাবা-মা, ভাই ও একজন পুরোহিত।
হাস্যরস : বছর তিনেক আগে আনুশকা মিডিয়াতে বলেছিলেন, তিনি প্রকৃতির কাছে কোথাও বিয়ে করতে চান। হতে পারে আঙুরের ক্ষেতে। তো, এটাও কি মিতব্যয়িতার উদাহরণ? আই মিন আলাদা করে পার্টি সেন্টার ভাড়া করতে হবে না।
কোহলি : (লাজুক ইমো)
হাস্যরস : শুনেছি, এর আগে তামান্না ভাটিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল?
কোহলি : দেখুন, আমার কাঁঠাল মামা একবার বলেছিল, ভাটিয়াদের সঙ্গে সম্পর্ক না করতে। কিন্তু সে সময় যদি বাহুবলি রিলিজ হতো, আমি ওই ভাটিয়াকে ছাড়তাম না কখনই।
হাস্যরস : (দুঃখ প্রকাশক ইমো)
কোহলি : ভাই, ইমোশনাল করে দিলেন।(কান্নার ইমো)
অতঃপর ‘you can't reply to this conversation’ লেখাটি স্ক্রিনের নিচে ভেসে উঠল।