রম্য
ব্যাঙের বিয়ে
খুব ধুমধাম, আনন্দ-উল্লাসে চলছে কুনো ব্যঙের বিয়ের প্রস্তুতি। চারদিকে হৈ-হুল্লোড়। কেউ ব্যস্ত সাউন্ড সিস্টেমে, কেউ কেউ আবার হলুদ, ফুল, খাবার আয়োজন নিয়ে। সব প্রস্তুতি শেষ। দাওয়াত নিমন্ত্রণও শেষ।
বনের সব প্রাণীকে দাওয়াত দেওয়া হলো। আজ বিয়ের দিন। শেয়াল মামাও দাওয়াত পেল। এর আগে শেয়াল মামাকে কেউ বিয়ের দাওয়াত দেয়নি। এটা তার প্রথম পাওয়া বিয়ের দাওয়াত। যাক সেজেগুজে পাজামা-পাঞ্জাবি পরে কুনোর ব্যাঙের দাওয়াত খেতে রওনা দিল। যথারীতি দাওয়াত খেয়ে পান ও টুথপিক হাতে নিয়ে হাঁ করে অবাক দৃষ্টিতে কী যেন দেখতে লাগল। তার এভাবে হাঁ করে দাঁড়িয়ে থাকা দেখে বানর জিজ্ঞেস করল, শেয়াল মামা, অবাক হয়ে তুমি কী দেখছ?
দেখছি দাওয়াত দিয়ে এনে হোটেল ব্যবসা শুরু করছে। মানে একজন ম্যানেজার রেখেছে, কে কত টাকা দিল বা কী উপহার দিল, তা লেখার জন্য। আর আমি তো এই প্রথম দাওয়াত খেতে এলাম, দেওয়ার মতো কিছু আনিনি। তাই লজ্জা পাচ্ছি।
বানর বলল, এটা কিছু না। আমাদের সমাজে এটা কালচার হয়ে গেছে। শুধু তাই না, দাওয়াত খেয়ে আমরা কে কী দিলাম, তা নিয়েও দরবার বসে; সমালোচনা হয়। গত মাসে আমি পাঁচটি দাওয়াত খেয়েছি। তাই রীতিমতো এখন সংসার নিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। কী করব। ইজ্জত রক্ষার্থে যেতে হয়।
এটা কেমন কথা হলো বানর মামা, টাকা দিয়ে দাওয়াত খেতে হয়!! আর আমি তো…।
ঠিক আছে শেয়াল মামা, এখন না হয় কিছু দিতে পারলেন না, তবে তৈরি থাকুন ব্যাঙের বাচ্চার সুন্নতে খাতনার সময় পুষিয়ে দিয়েন।