রম্য
বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর যত অজুহাত
বিভিন্ন অজুহাতে হুটহাট বাড়ি ভাড়া বাড়িয়ে দেন বাড়িওয়ালা। সে অজুহাতগুলোও বেশ মজার হয়। ভাড়াটিয়ার কাছে বাড়িওয়ালার অজুহাতগুলো জানাচ্ছেন হাস্যরস প্রতিবেদক।
*বুঝলেন ভাইসাহেব, যা দিনকাল পড়ছে, কিছুতেই পোষাচ্ছে না। ভাবলাম, আপনারা সবাই আছেন, বাড়ি ভাড়াটা একটু বাড়িয়ে দেই।।
*বিয়ে করেছি মাত্র একখান। একটামাত্র বউ আমার। সে বায়না ধরেছে আগামী মাস থেকে শপিংয়ে বাড়তি মনোযোগ দেবে। বুঝতেই পারছেন, বউয়ের শপিং মানেই বাড়তি খরচ। আর বাড়তি খরচের জোগান দিতে আপনারাই (ভাড়াটিয়া) আমার ভরসা।
*আমার ছেলেটা কষ্ট করে মোটরসাইকেল চালিয়ে ভার্সিটিতে আসা-যাওয়া করে। ভাবছি, ওকে আগামী মাসে একটি প্রাইভেটকার কিনে দেব। সাথে থাকবে বেতনভুক্ত চালক। আমার ছেলের কষ্ট কমাতে আপনাদের একান্ত সহযোগিতা আবশ্যক।
* একটামাত্র মেয়ে আমার। তার কোনো কথাই আমি ফেলতে পারি না। সে সামনের ঈদের জন্য সিঙ্গাপুর থেকে কেনাকাটা করতে চায়। তার আবদার ফেলি কী করে। এখন আপনারাই এই দরদি বাবাকে তার মেয়ের আবদার পূরণে সাহায্য করতে পারেন।
* আমার এত বড় একটা বাড়ি, অথচ আমি সময়ের সাথে তাল মেলাতে পারছি না। আমার ঘরে লেটেস্ট মডেলের টিভি, ফ্রিজ, এসি, গাড়ি কিছুই নেই। এটা কি কোনো কাজের কথা, বলেন ? আমি আপনাদের বাড়িওয়ালা , আমি আপডেটেড না হলে আপনাদের আঁতে লাগবে, এ তো জানা কথাই। তাই আগামী মাস থেকে ভাড়া বাড়ানো ছাড়া আমার আসলে কোনো উপায় ছিল না।
* পাড়ার মোড়ে দেখা হলে আমার পাশের বাড়িওয়ালা আজ বুক ফুলিয়ে বলছিলেন, ‘আমি বছরে তিনবার ভাড়া বাড়াই। আমার ভাড়াটিয়ারা সব উচ্চমহলের।’ তার কথা শুনে আমিও বুক ফুলিয়ে বলে দিয়েছি, ‘আমার ভাড়াটিয়ারাও উচ্চমহলের। বছরে চারবার ভাড়া বাড়ালেও তারা মাইন্ড করে না!’
* আজকাল শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। কখন কী হয়ে যায়, বুঝতে পারছি না। তাই কিছু হওয়ার আগেই ছেলেমেয়ে দুটোর জন্য ব্যাংকে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স জমা করা বাবা হিসেবে আমার দায়িত্ব। আপনারাও এতে দ্বিমত করেন না , সে আমি জানি। এজন্য আগামী মাস থেকে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা বাড়তি ভাড়া দিতেও আপনাদের কোনো আপত্তি থাকবে না, এ বিষয়েও আমি ব্যাপকহারে নিশ্চিত।