বিখ্যাতদের মজার ঘটনা
আইনস্টাইনকে বিয়ের প্রস্তাব সুন্দরী অভিনেত্রীর

ভুলোমনা
বিজ্ঞানীরা বরাবরই কিছুটা ভুলোমনা হয়ে থাকেন, তবে এদিক থেকে নোবেলজয়ী বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইন বোধ হয় একটু বেশিই এগিয়ে ছিলেন! একবার তিনি ট্রেনে চড়ে কোথাও যাচ্ছিলেন। চেকার এসে টিকিট দেখতে চাইল। কিন্তু আইনস্টাইন কিছুতেই টিকিট খুঁজে পাচ্ছিলেন না। শুধু বিড়বিড় করছেন, ‘কোথায় যে রাখলাম টিকেটটা!’
চেকার বলল, ‘স্যার, আমি আপনাকে চিনতে পেরেছি। আপনি নিশ্চয়ই টিকিট কেটেই উঠেছেন। আপনাকে টিকিট দেখাতে হবে না।’
আইনস্টাইন চিন্তিত মুখে বললেন, ‘না না! ওটা তো খুঁজে পেতেই হবে! না পেলে জানব কী করে, আমি কোথায় যাচ্ছিলাম!’
গুরুত্বহীন বিন্দু
আলবার্ট আইনস্টাইন আরেকবার বিজ্ঞানীদের সম্মেলনে যোগ দিতে যান। সেখানে একজন বিশি জ্যোতির্বিদ মন্তব্য করেন, অসীম বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে একজন জ্যোতির্বিদ গুরুত্বহীন একটি বিন্দু ছাড়া কিছুই নন।
জবাবে আইনস্টাইন বলেন, ‘তবে আমার ব্যাপারটি হচ্ছে কি, কোনো মানুষকে যদি আমি এ রকম গুরুত্বহীন বিন্দু মনে করি, দেখি যে ওই ব্যক্তি একজন জ্যোতির্বিদ।’
স্যুপটা খুবই গরম!
আইনস্টাইন সম্পর্কে বলা হয়,তিনি কথা বলতে শুরু করেন দেরিতে, চার বছর বয়সে। আর পড়তে শেখেন সাত বছর বয়সে। চার বছর পর্যন্ত যখন তিনি কথা বলছিলেন না, তখন তাঁর মা-বাবা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। একদিন হঠাৎ খাবার টেবিলে নির্বাক আইনস্টাইন বলে উঠলেন, স্যুপটা খুবই গরম!
তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো,এত দিন কেন কথা বলোনি?
এত দিন তো সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল,আইনস্টাইন তাঁর জীবনের দ্বিতীয় বাক্যটি বললেন।
পড়াশোনার দৌড়
আইনস্টাইন একবার রেলগাড়ির ডাইনিংয়ে রাতের খাবার খেতে এসে দেখলেন, চশমা ফেলে এসেছেন। খালি চোখে মেন্যুও পড়া যাচ্ছে না। তিনি ওয়েট্রেসকে ডেকে বললেন, দয়া করে এটা পড়ে দাও।
ওয়েট্রেস তাঁর দিকে সহানুভূতির দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল, দুঃখিত স্যার, আমার পড়াশোনার দৌড়ও আপনার মতোই।
টিকেট বিড়ম্বনা
বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীর টিকেট বিড়ম্বনার আরেক গল্প এটি। দিন কয়েকের জন্য প্রথমবারের মতো এক বড় শহরে বেড়াতে গেছেন আইনস্টাইন। এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে বাসে চেপে হোটেলে ফিরছেন। বাসের কন্ডাক্টর টিকেট চাইলে তিনি খুবই বিব্রতবোধ করলেন। এ পকেট-সে পকেট হাতড়ে কোথাও টিকেট পেলেন না। কন্ডাক্টর তাঁকে বিব্রত হতে দেখে বললেন, ঠিক আছে, আপনাকে আর ব্যস্ত হতে হবে না। টিকেটটা কোথাও পড়ে গেছে হয়তো। এ কথা শুনে আইনস্টাইন বিচলিত হয়ে বললেন, আরে না, বলছ কী তুমি! টিকেট না পেলে আমি হোটেলে ফিরব কী করে? টিকেটের উল্টো পাশে হোটেলের নাম-ঠিকানা লেখা ছিল যে!
মনের ভাব
এক বক্তৃতা সভায় আইনস্টাইনকে একনজর দেখানোর জন্য বাবা তাঁর শিশুপুত্রকে উঁচু করে ধরলেন আইনস্টাইনের সামনে। শিশুটি তখন তারস্বরে কাঁদছে। বৃদ্ধ আইনস্টাইন শিশুটির গাল টিপে দিয়ে বললেন, এত বছর বয়সের মধ্যে একমাত্র তুমিই অকপটে আমার সম্পর্কে মনের ভাব প্রকাশ করলে। ধন্যবাদ।
ছাত্র আইনস্টাইন
এক পার্টিতে আইনস্টাইনকে চিনতে না পেরে এক তরুণী জিজ্ঞেস করল, আপনি কী করেন? আইনস্টাইন বললেন, আমি পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র। তরুণী অবাক, কী! এই বয়সে আপনি এখনো ছাত্র? আমি তো গত বছর পড়াশোনার পাট চুকিয়ে ফেলেছি।
আপেক্ষিক তত্ত্বের বিরোধিতা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আইনস্টাইন যখন বিজ্ঞান ছেড়ে প্রায় নির্বাসিত জীবনযাপন করছিলেন, তখন হিটলারপন্থী একশ প্রফেসর একটি বই প্রকাশ করেন। যার বিষয়বস্তু ছিল আপেক্ষিক তত্ত্বের বিরোধিতা। আইনস্টাইন ব্যাপারটি জেনে মন্তব্য করেন, আমার তত্ত্ব ভুল প্রমাণ করার জন্য একজন প্রফেসরই তো যথেষ্ট ছিল।
থিওরি অব রিলেটিভিটি ফ্যাশন
আইনস্টাইনের থিওরি অব রিলেটিভিটি (আপেক্ষিক তত্ত্ব) আবিষ্কারের পর সেই সময়ে অল্প কয়েকজন বিজ্ঞানী শুধু বুঝতে পেরেছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই আবিষ্কারের ফলেই তাঁর জনপ্রিয়তা সর্বস্তরে পৌঁছে যায়। এক চুরুট কোম্পানি তো তাদের চুরুটের নামই রিলেটিভিটি চুরুট রেখে দেয়। সে সময় এক সাংবাদিক আইনস্টাইনকে প্রশ্ন করলেন, আচ্ছা বলুন তো, থিওরি অব রিলেটিভিটি নিয়ে চারদিকে এত আলোচনা হচ্ছে কেন?
আইনস্টাইন মৃদু হেসে উত্তর দিলেন, মানুষ ফ্যাশন পছন্দ করে। আর এ বছরের ফ্যাশন হলো থিওরি অব রিলেটিভিটি। তাই এ নিয়ে এত আলোচনা।
প্রশ্ন-উত্তর
একবার আইনস্টাইনের এক ছাত্র তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসে অনুযোগের সুরে বলল, স্যার, এবারের পরীক্ষার প্রশ্নগুলো প্রায় সবই গতবার পরীক্ষায় এসেছিল। হুবহু একই প্রশ্ন। তা হতে পারে, আইনস্টাইন বললেন, কিন্তু খাতা দেখতে গিয়ে লক্ষ করলাম, উত্তরগুলো সব আগের বছরের চেয়ে আলাদা।
খামোখা
আইনস্টাইনের এক সহকর্মী একদিন তাঁর টেলিফোন নম্বরটা চাইলেন। আইনস্টাইন তখন টেলিফোন গাইডে নিজের নম্বর খুঁজতে শুরু করেন। এদিকে সময় নষ্ট হচ্ছে দেখে সহকর্মী বিরক্ত হয়ে বললেন, তুমি তোমার নিজের নম্বরটাও মনে রাখতে পারো না? এ কথায় আইনস্টাইন উল্টো যুক্তি দেখিয়ে বললেন, যে জিনিসটা টেলিফোন গাইডে লেখা আছে, সেটা আমি খামোখা মুখস্থ করতে যাব কেন?
চলুন বিয়ে করে ফেলি
বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মেধার তুলনায় তাঁর চেহারা ছিল নিতান্তই সাদামাটা। একবার এক সুন্দরী অভিনেত্রী প্রস্তাব দেন, চলুন আমরা বিয়ে করে ফেলি। তাহলে আমাদের সন্তানের চেহারা হবে আমার মতো সুন্দর আর মেধা হবে আপনার মতো প্রখর। ‘কিন্তু যদি ঠিক এর উল্টোটা ঘটে, তবে কী হবে’, আইনস্টাইনের নির্বিকার উত্তর।