রম্য
মাই নেম ইজ হাম্বা খান

কোরবানির বাজার এখন রমরমা। হাটে-মাঠে সর্বত্র শুধু কোরবানির পশু। অনেক বুঝিয়ে-সুঝিয়ে এবারের কোরবানির হাটে সেরা আকর্ষণ হাম্বা খানের একটি গরুক্লুসিভ সাক্ষাৎকার নিয়ে ফেললেন এই রম্য প্রতিবেদক!
প্রশ্ন : কী খবর হাম্বা খান, কেমন চলছে?
হাম্বা খান : চ্যাতাইস নারে পাগলা! ডিস্টার্ব দিস না কইলাম!
প্রশ্ন : সেকি! কী হইছে হাম্বা খান? এমন বিমর্ষ দেখাচ্ছে কেন?
হাম্বা খান : তুই এখানে মজা লুটতে আইছস! আমি মরি আমার জ্বালায়, আইসা ডিস্টার্ব করস ক্যান!
প্রশ্ন : আহা! তোমার গরুক্লুসিভ সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্যই তো চ্যাতাচ্ছি! কী হইছে খুলে বলো? কিসের জ্বালা?
হাম্বা খান : জ্বালা বুঝস নারে পাগলা! আমি মইরা যামুরে পাগলা! আমার ডাবল জ্বালারে!
প্রশ্ন : কী বলো হাম্বা খান! ডাবল জ্বালা তোমার!
হাম্বা খান : হরে হ! আমি তো মরমুই, আমার আদরের হাম্বি খানও মইরা যাবো রে! আমার লগে আমার হাম্বি খানরেও কোরবানির বাজারে তুলছে মালিক!
প্রশ্ন : ওহ! কাহিনী তাইলে এই! তা এত দিন মালিক তোমাদের ভালো ভালো খাবার দিয়ে নাদুসনুদুস বানাইছে তো কোরবানির বাজারে তোলার জন্যই।
হাম্বা খান : তুই তো কইবি! আমারে না হয় তুলছে। তাই বলে আমার হাম্বি খানরেও তুলব! আহারে আমার হাম্বি খান, মইরা যাইব রে!
প্রশ্ন : দূর মিয়া, আইছি সাক্ষাৎকার নিতে, তুমি আছো খালি হাম্বি খান নিয়া! ওই সব বাদ দাও, বাজারে তোমার প্রতিদ্বন্দ্বী আছে নাকি?
হাম্বা খান : আমি হইলাম হাম্বা খান! মার্কেটে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলে চলে নাকি! মাই নেম ইজ খান অ্যান্ড আমি অ্যাম অপ্রতিদ্বন্দ্বী!
প্রশ্ন : সেকি! এই বাংলিশ মার্কা কথা শিখলে কী করে তুমি!
হাম্বা খান : হইছে কী, আমার মালিক সব সময় এফএম রেডিও শোনে। তার সঙ্গে আমিও কান পাততাম। এফএম রেডিওর ওইগুলারে কী যেন বলে, ওরা তো এই বাংলিশ ভাষায় কথা বলে। তাই আমিও একটু শিখে নিলাম!
প্রশ্ন : আইচ্ছা, আইচ্ছা! তা হাম্বা খান, কোরবানিতে তো তোমার জান কোরবান হয়ে যাবে। শেষ ইচ্ছা কিছু আছে?
হাম্বা খানা : ইচ্ছা? আছে তো! অবশ্যই আছে! তুই খুব ভালা একখানা কথা মনে করছিস! এখন তোরে ইয়া জোরে একখান ঢুস দিয়া আমার বর্তমান ইচ্ছা পূরণ করমু! ওই বেটা, কই দৌড়াস...!
(চাচা, আপন প্রাণ বাঁচা! খ্যাতাপুড়ি সাক্ষাৎকারের! হাম্বা খানের হাত থেকে রেহাই মিলেছে, এটাই অনেক!)